বায়ার্ন মিউনিখ ২ : ২ রিয়াল মাদ্রিদ
এই না হলে ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো! কদিন ধরেই ম্যাচটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল উত্তাপ-উত্তেজনা। ইউরোপের সফলতম দুই দলের লড়াই নিয়ে ছড়িয়ে পড়া রোমাঞ্চ যে ভুল ছিল না, সেটিই যেন প্রমাণ হলো আজ। উত্থান-পতন এবং ঘুরে দাঁড়ানোর ধ্রুপদী লড়াইটিতে অবশ্য শেষ পর্যন্ত জেতেনি বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদের কেউই। মিউনিখে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের জমজমাট ম্যাচটি ড্র হয়েছে ২-২ গোলে।
আজ রাতে আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় শুরুতে স্বাগতিক বায়ার্নের দাপটের মধ্যে ভিনিসিয়ুসের গোলে রিয়ালের এগিয়ে যাওয়া। বিরতির পর ম্যাচ যখন রিয়ালের নিয়ন্ত্রণে মনে হচ্ছিল, তখন চার মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে উল্টোরথে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন লেরয় সানে ও হ্যারি কেইন। এরপর বায়ার্ন যখন জয় নিয়ে ম্যাচ শেষ করার অপেক্ষায় ছিল তখন ফের পাল্টা আঘাত হানে রিয়াল। পেনাল্টি থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল আদায় করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান ভিনি। এ সমতাতেই শেষ হয়েছে প্রথম লেগের লড়াই।
অন্যদিকে প্রথম ২০ মিনিট রিয়ালের কেটেছে থিতু হওয়ার চেষ্টাতেই। দুই একবার বল পায়ে পেলেও ঠিকঠাকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছিল না তারা। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে ম্যচের ২৪ মিনিটে গোল করার আসল কাজটি ঠিকই সেরে ফেলে রিয়াল।
প্রায় মাঝ মাঠের কাছাকাছি জায়গা থেকে বায়ার্নের চার ডিফেন্ডারের ফাঁদ এড়িয়ে দুর্দান্ত এক থ্রো বল বাড়ান টনি ক্রুস। আর সেই বলকে দখলে নিয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে জালের ঠিকানা দেখান ভিনিসিয়ুস। এ নিয়ে চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়লেন ভিনিসিয়ুস। তাঁর আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন জারি লিটমানেন, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং কেভিন ডি ব্রুইনা।
গোল করা বাদ দিলে ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট দৃশ্যপটজুড়ে ছিল কেবল বায়ার্নই। এ সময় বলের দখল, সুযোগ তৈরি, পাসিংসহ সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে ছিল বাভারিয়ান ক্লাবটি। তাতে অবশ্য রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি খুব একটা মন খারাপ হওয়ার কথা নয়। কারণ, কাজের কাজটা ঠিকই সেরে রেখেছিল তাঁর শিষ্যরা।
প্রথম আধাঘণ্টা পেরোনোর পর অবশ্য ধীরে ধীরে ম্যাচে নিজেদের ছাপ রাখতে শুরু করে রিয়াল। বল পায়ে রেখে চেষ্টা করে আক্রমণ শানানোর। এ সময় বায়ার্ন রক্ষণে কয়েকবার হানা দেওয়া চেষ্টাও করে তারা। যদিও তা দ্বিতীয় গোল আদায়ের জন্য সেসব যথেষ্ট ছিল না। এরপরও প্রতিপক্ষের মাঠে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রিয়াল।