রয়টার্স এর তথ্য মতে, থাইল্যান্ডের রপ্তানি চলতি বছরে ২% বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পূর্বের ১% থেকে ২% বৃদ্ধির পূর্বাভাসের শীর্ষ সীমায় রয়েছে। তবে দ্রুত শক্তিশালী হওয়া থাই মুদ্রা ‘বাথ’ বাকি সময়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে জানিয়েছে থাই ন্যাশনাল শিপার্স কাউন্সিল।
সোমবার বাথ ডলারের বিপরীতে ৩২.১২৫ এ লেনদেন হয়েছে, যা গত ৩১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বছরের শুরু থেকে বাথের মূল্য ৫.২% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মালয়েশিয়ার রিঙ্গিটের পরে অঞ্চলের দ্বিতীয় সেরা পারফর্মিং মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোমবার জানিয়েছে, বাথের দ্রুত মূল্যবৃদ্ধি রপ্তানি এবং পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাথের মুদ্রামানের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করেছে, তবে এই মূল্যবৃদ্ধি থাইল্যান্ডের ব্যবসায়িক অংশীদার ও প্রতিযোগীদের তুলনায় দ্রুত হয়েছে।
থাই ন্যাশনাল শিপার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান চাইচান চেরোন্সুক বলেন, “বাথের মুদ্রার মান বৃদ্ধির গতি অত্যন্ত দ্রুত এবং এটি আমাদের কৃষি ও খাদ্য রপ্তানির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এটি সবচেয়ে বড় ঝুঁকি, বিশেষ করে বছরের শেষ ভাগে আমাদের রপ্তানির প্রবৃদ্ধির জন্য কোনো বিশেষ অনুকূল উপাদান নেই। আমাদের রপ্তানি বজায় রাখতে লড়াই করতে হবে।”
২০২৪ সালের প্রথম আট মাসে, রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.২% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মূলত তখনকার দুর্বল বাথের কারণে সম্ভব হয়েছে বলে চাইচান জানান। ২০২৩ সালে পুরো বছর জুড়ে থাইল্যান্ডের রপ্তানি ১% হ্রাস পেয়েছিল। তবে আগস্ট মাসে রপ্তানি ৭% বৃদ্ধি পায়। যদিও বাথের মুদ্রার মান বৃদ্ধির কারণে বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে রপ্তানিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
রপ্তানিকারকরা সরকারের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির পরিকল্পনা আরো বিলম্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। চাইচান বলেন, “এটি আমাদের খরচের কাঠামো এবং প্রতিযোগিতার উপর প্রভাব ফেলবে। তাই মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি এখন বিবেচনা করা উচিত নয়, বরং আরও দেরি করা উচিত।”
সরকার এরই মধ্যে অক্টোবরে ন্যূনতম দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির পরিকল্পনা বিলম্বিত করেছে, যা অঞ্চলভেদে ৮% থেকে ২০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
থাইল্যান্ডের রপ্তানি খাত এই বছর কিছুটা উন্নতি দেখালেও, শক্তিশালী বাথ মুদ্রা এবং ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির সম্ভাব্যতা রপ্তানিকারকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, কীভাবে এই সমস্ত বাধা অতিক্রম করে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যায়।