ড. ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে রিসেট বাটন চাপার কথা বলেননি বলে দাবি করেছে তার প্রেস উইং। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক ইউনূস রিসেট বাটন চাপার বিষয়টি কলুষিত রাজনীতি থেকে নতুন যাত্রা নির্দেশ করার জন্য ব্যবহার করেছেন। বাংলাদেশে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতির কারণে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে এবং মানুষের ভোটের অধিকার সহ কোটি কোটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে মুছে ফেলার জন্য এই দুটি শব্দ (রিসেট বাটন) ব্যবহার করা হয়নি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যখন আপনি রিসেট বাটন চাপবেন, তখন আপনার সফটওয়্যারটি পুনরায় সচল হবে। এটি হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করে না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার। সেটি পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।” এতে দাবি করা হয় যে, কিছু মানুষ ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারের ভুল ব্যাখ্যা করছে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ৮ আগস্ট হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, “জুলাই-আগস্টের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান ছিল আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ।”

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অধ্যাপক ইউনূস পূর্বে মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি বাংলাদেশ নাগরিক কমিটি গঠন করেন এবং মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে রাজি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচারণা চালান। এছাড়াও, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে বিশ্বকে অবহিত করার জন্য বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেন।

এভাবে, অধ্যাপক ইউনূসের বক্তব্যের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করে তাদের বক্তব্যের প্রমাণিততা ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

Tags

- Advertisement -