নিরীহ ফিলিস্তিনি গণহত্যায় পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থান

“কেউ যদি ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ায় অথবা আরবপন্থী স্লোগান দেয়, তাহলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে।”… ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান

ফিলিস্তিন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বৈতনীতি দেখা যায় সব সময়। পশ্চিমা দেশগুলো সব সময় মানবাধিকার এবং সবার জন্য শিক্ষার কথা বলে। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সেখানে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা নিয়ে কথা বলে না। সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ন্যাটো সদস্য ভুক্ত চার দেশের অবস্থান সত্যিই প্রশংসনীয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমা শক্তিগুলো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত আছে এই যুক্তিতে– এটি অসলো শান্তি প্রক্রিয়াকে ‘ক্ষুণ্ন’ করবে। অসলো চুক্তি দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে, যা তথাকথিত ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ বলেই পরিচিত। তবুও এটা বলতে হবে, ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ঘাটতিই বরং এই পুরো পদ্ধতিকে দুর্বল করে।  পশ্চিমা বিশ্বে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন মহৎ ও পবিত্র বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

উদার, গণতান্ত্রিক পশ্চিমা বিশ্বের একেবারে গোড়ার বিশ্বাস হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার।

কিন্তু, ব্রিটেনের উন্মাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান প্রকাশ্যেই বর্ণবাদী কথাবার্তা বলে সমালোচিত হন। তিনি ব্রিটেনের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেছেন, কেউ যদি ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ায় অথবা আরবপন্থী স্লোগান দেয়, তাহলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছেন। ফ্রান্সে বসবাসকারী ভিনদেশিদের মধ্যে কেউ যদি ‘সেমেটিক-বিরোধী কর্মকাণ্ড’ করে, তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন তিনি। একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জার্মানিতে। পশ্চিমা বিশ্বের অন্যখানেও একই অবস্থা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের যাঁরা ফিলিস্তিনপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি লালন করেন, তাঁদেরকে চাকরির ক্ষেত্রে কালো তালিকায় রাখা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

১৯৪৮ সালে যেভাবে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনবিরোধী মিছিল সমাবেশ ও প্রচার শুরু হয়েছিল, এবারও ইসরাইলি দখলদার বসতি স্থাপনকারীদের সমর্থনে তা শুরু হয়েছে। জার্মানরা ইসরাইলের শ্রেষ্ঠত্ববাদী ইহুদি নেতাদের উদ্দেশে স্লোগান দিচ্ছেন, বার্লিন তোমাদের সঙ্গে আছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যেও সেই স্লোগানের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যে একজোট হয়েছে, সেটি মোটেও কাকতালীয় বিষয় নয়। নামিবিয়া, তাঙ্গানিকা, রোডেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, আলজিরিয়া, তিউনিসিয়া, কেনিয়াসহ যত জায়গায় শ্বেতাঙ্গরা উপনিবেশ গড়েছিল, সবখানে তারা একজোট হয়েছিল।

এর কারণ হলো, তারা প্রচণ্ড রকম বর্ণবাদী। ইসরাইল যেহেতু একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র, সেহেতু তারা তাদের পাশে থাকবেই। ইসরাইলের শ্রেষ্ঠত্ববাদী ও বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি সর্বশেষ প্রকাশ পেয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়ভ গ্যালান্টের কথায়। তিনি এক ভাষণে ফিলিস্তিনিদের মানবরূপী জানোয়ার বলে উল্লেখ করেছেন। যেহেতু এশিয়ায় বর্ণবাদী ও শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সর্বশেষ উপনিবেশ রাষ্ট্র ইসরাইল, সেহেতু সেই উপনিবেশকে পশ্চিমা শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা টিকিয়ে রাখতে চাইবেই।

দ্য ডেইলি স্টার এর সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম একটি কলামে লিখেছিলেন-

গাজায় যা ঘটছে, তা বিবেচনার ক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে যে যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। আর ইসরায়েল একটি রাষ্ট্র, যাদের রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত নিজস্ব সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় সীমানা দখলদারিত্বের মাধ্যমে যা তারা নিয়মিত বাড়াচ্ছে। অন্য রাষ্ট্রের মতো ইসরায়েলেরও আছে নিয়মিত অর্থের যোগানসহ অন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।

কাজেই এই সংঘাত একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সংগঠনের। যখন একটি ‘রাষ্ট্র’ জ্ঞাতসারে নির্বিচার হামলা চালিয়ে গাজায় সাত হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই শিশু, তাদের দায়টাই কি বেশি নয়?

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ইসরায়েল সফর করেছেন, যেদিন ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েল গাজায় বোমাবর্ষণ করে ৭০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন ইসরায়েল সফর করেছেন, ততদিনে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। অথচ, এই পরিস্থিতির মধ্যে মাখোঁ ও বাইডেন তাদের বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কেবল অনুরোধ করেছেন যে, যেন তারা ‘নিয়ম বহির্ভূতভাবে যুদ্ধ’ না করে।

আমি আন্তরিকতার সঙ্গেই তাদের এই অনুরোধের মর্ম বোঝার চেষ্টা করেছি। বিষয়টা কি এমন যে তথাকথিত নিয়ম মেনে যুদ্ধ করে ফিলিস্তিনি পুরুষ, নারী ও শিশুদের হত্যা করলে সেটা ঠিক আছে? মাখোঁ ও বাইডেন কি এটাই বলতে চেয়েছেন? গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজায় চলতে থাকা হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী কি পুরো বিশ্ব নয়? কোথাও কি কোনো ‘নিয়ম’ মেনে চলার চিহ্ন দেখা গেছে? গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দাকে খাদ্য, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া কি ‘নিয়ম’ মেনে চলার উদাহরণ? এমনকি ইসরায়েলকে যুদ্ধের ‘নিয়ম’ মেনে চলার অনুরোধ জানানো হলেও নিয়ম না মানলে কী হতে পারে, সে বিষয়ে কিছুই বলেননি তারা।

চলমান পরিস্থিতির মধ্যেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কাছে মার্কিন ইতিহাসে সর্বোচ্চ এককালীন ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বরাদ্দ চেয়েছেন ইসরায়েল ও ইউক্রেনের জন্য।

নির্বিচারে মানুষ হত্যা, শিশু হত্যা, পুরো জাতিকে গৃহহীন করা, গণ উচ্ছেদ, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন নিয়ে যদি কখনো ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হয়, তাহলেই কেবল এমন হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে ‘নিয়ম’ মেনে চলার আহ্বান জানানো যেতে পারে।

পশ্চিমা নেতাদের কেউই এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানাননি। এমনকি ব্রাজিলের নেতৃত্বে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘মানবিক কারণে যুদ্ধ স্থগিত’র প্রস্তাব এসেছে, কিন্তু সেটা যুদ্ধবিরতি নয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ‘সাময়িকভাবে’ নির্বিচার হত্যাকাণ্ড বন্ধ রেখে চরম দুর্দশাগ্রস্ত মানুষগুলোর কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। গতবছর ১৮ অক্টোবর ফ্রান্সসহ নিরাপত্তা পরিষদের বাকি সব সদস্য এই প্রস্তাবে একমত হলেও যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ভেটো দেয়। এরপর গতবছর ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যুদ্ধ স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিলে সেখানে ভেটো দেয় চীন ও রাশিয়া।

হামাসকে ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এমনকি এর জন্য যদি ২০ লাখ বাসিন্দাসহ গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হয়, তাতেও তাদের সমস্যা নেই। এমন একটি পরিস্থিতিতে ‘নিয়ম’ মানার আহ্বান কেবল লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই না।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও নির্বিচার হত্যা ও আটকের ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। অথচ, সেখানে তো হামাস নেই। এতেই প্রমাণিত হয় যে, ইসরায়েলের হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু শুধু হামাসের মতো সংগঠন নয়, বরং সমগ্র ফিলিস্তিনি জনগণ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও নাৎসিদের হাতে ইউরোপীয় ইহুদিদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর মানুষের জীবন, স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার মতো সার্বজনীন অধিকার সমুন্নত রাখতে আন্তর্জাতিক আইন তৈরি করা হয়, জন্ম নেয় ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’র ধারণা। এই আইনে মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় জীবন ও স্বাধীনতাকে। ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রে কি এগুলো প্রযোজ্য নয়?

যুদ্ধপরবর্তী সময়ে গড়ে ওঠা এই আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক সমাজব্যবস্থার সব অর্জন উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে অর্থহীন। কারণ গত ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবিগুলোও অস্বীকার করা হচ্ছে। ৭৫ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে, যা গত দুই দশকে আরও বেশি সহিংস ও অমানবিক হয়ে উঠেছে। বিষয়টি এটাই প্রমাণ করছে যে, এখানে ন্যায্যতা মুখ্য নয়, পশ্চিমা স্বার্থ রক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ।

সবশেষে বলতে চাই-

২৮ মে নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং স্পেন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েল তাদের এ ঘোষণার কঠোর সমালোচনা করেছে এবং তিন দেশ থেকে তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোর বলেছেন: ‘স্বীকৃতি না থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসতে পারে না।’

আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন: ‘রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আয়ারল্যান্ড যেমন শান্তিপূর্ণ একটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তেমনি আমরা বিশ্বাস করি, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রসত্তা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও পুনর্মিলনে অবদান রাখবে।’

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং প্রতীকী পদক্ষেপ, বিশেষত সিদ্ধান্তটি যখন পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর। এটি বিশ্বের অধিক অংশে ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্রমবর্ধমান সমর্থনকে তুলে ধরে।

গত শতাব্দীর বেশির ভাগ সময় ধরে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো বিশেষ ইস্যুতে মার্কিন অবস্থানকেই সমর্থন দিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন ছিল কেন্দ্রীয় বিষয়। আমেরিকার ইসরায়েলপন্থি এ অবস্থানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির যে কোনো প্রয়াস ওয়াশিংটনের তৈরি বৃত্তে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করত, অনেকটা বিশ্বের সবচেয়ে আধিপত্যশীল শক্তির সঙ্গে কূটনৈতিক সংঘাতে লিপ্ত হওয়ার মতো।

তবে গত এক বছরে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে কিছুটা হলেও সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। গাজার ধ্বংসযজ্ঞ এই অগ্রগতি তৈরি করেছে, যা এ প্রয়োজনও তুলে ধরে যে, এখানে স্থায়ী শান্তিমুখী একটা ব্রেকথ্রু দরকার। ‘বিশাল দর কষাকষি’র অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনার কথা ভাবছে। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে গাজা যুদ্ধের অবসান এবং রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে সৌদি আরবের স্বীকৃতি। তবে সৌদি কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেছেন, একমাত্র গাজা যুদ্ধের অবসান এবং ‘১৯৬৭ সাল-পূর্ব সীমান্ত সমন্বিত একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে পূর্ব জেরুজালেমকে তার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিলেই ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।’

Tags

- Advertisement -