বিজিএমইএ পোশাক শিল্পে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে

পোশাক শিল্পে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর এক মতবিনিময় সভায় সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। যৌথ বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতার কারণে শ্রমিকদের অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কারখানাগুলো খোলা রাখা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ, ডিজিএফআই, এনএসআই, র‍্যাব, বিজিবি এবং কারখানা মালিকদের প্রতিনিধিরা। সভায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আসিফ আশরাফ এবং অন্যান্য পরিচালকরা।

সভায় জানানো হয়, যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবির বেশিরভাগই মেনে নেয়া হয়েছে। তবে কিছু বাহ্যিক ইন্ধন ও প্ররোচনায় কিছু কারখানায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর সঠিক পদক্ষেপের কারণে এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়েছে বলে বিজিএমইএ জানায়।

এক পর্যায়ে যৌথ বাহিনী পোশাক শিল্পে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে। তারা মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত এবং অপ্রয়োজনীয় অস্থিরতা এড়ানো উচিত।

ম্যাঙ্গো টেক্স লিমিটেডের এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। জানা যায়, কিছু বহিরাগত ব্যক্তি এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, যা পরে সংঘর্ষের রূপ নেয়। ওই সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ মোট ১১ জন আহত হন।

পরে, শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের সাথে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শ্রমিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তারা যেন শ্রমিকদের বোঝান যে কারখানার ক্ষতির ফলে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং এর প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়বে। 

এই মতবিনিময় সভা থেকে যৌথ বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিজিএমইএ আশা করে, আগামীতে শ্রমিক-মালিক উভয়ের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং পোশাক শিল্পে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে।

Tags

- Advertisement -