ভারত থেকে আনা ৩০টি পণ্যবাহী ওয়াগনের সফল পরীক্ষামূলক চলাচল

আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত ৩১০ কিলোমিটার রেলপথে ভারত থেকে আমদানি করা ৩০টি পণ্যবাহী ওয়াগনের পরীক্ষামূলক চলাচল সম্পন্ন হয়েছে। এই ট্রায়াল রান চলাকালে ওয়াগনগুলো সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলেছে এবং এতে কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়নি।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, অতীতে সারা দেশে পণ্যবাহী ওয়াগনের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন করা হতো, তবে সড়কপথে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রেল খাতটি অবহেলিত হয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পুনরায় রেলপথে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভারত থেকে ২৯০টি ওয়াগন আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩০টি ওয়াগন গত সেপ্টেম্বর মাসে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নিয়ে আসা হয়।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়াগন শপে ওয়াগনগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। আজকের পরীক্ষামূলক চলাচলে নেতৃত্ব দেন সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার উৎপাদন প্রকৌশলী জাহিদ হাসান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওয়াগন আমদানি প্রকল্পের কার্যব্যবস্থাপক ফয়েজ আহমেদ খান এবং ওয়াগন শপের ইনচার্জ নিজামুল হকসহ সংশ্লিষ্ট শাখার শ্রমিক-কর্মচারীরা।

ওয়াগন শপের ইনচার্জ নিজামুল হক  বলেন, “আমাদের ওয়াগনের ট্রায়াল রান সফল হয়েছে। সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার তোলা হয়। পর্যাপ্ত লোড থাকলেও কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়নি। ওয়াগনগুলো বেশ উন্নত মানের।”

প্রকৌশলী জাহিদ হাসান জানান, “ট্রায়াল রান গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। সফলভাবে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ট্রায়াল রানে যাওয়ার আগে ওয়াগনগুলোর যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কারিগরি দিক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।”

এবারের পরীক্ষামূলক চলাচল রেলপথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলো, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন খাতে আবারো প্রাণ ফিরবে এবং পরিবহণ খরচ কমে আসবে।

Tags

- Advertisement -