স্টক মার্কেট সম্পর্কে কিছু জেনে নেই

স্টক মার্কেট বা শেয়ার বাজার হচ্ছে একটি জটিল এবং বহুমুখী বিষয়। শেয়ারবাজার ও স্টকবাজার একই অর্থে ব্যবহৃত হলেও এ দুটি মধ্যে কিছু ভিন্নতা রয়েছে।

সারাংশে, শেয়ার মার্কেট হলো স্টক মার্কেটের একটি অংশ। বিশ্ব অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে স্টক মার্কেট সবসময়ই একটি আলোচনার বিষয়। কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক অবস্থার প্রতিফলন এবং বিনিয়োগকারীদের আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারের গতি প্রকৃতি এবং গতিশীলতা নানাভাবে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, এবং সামাজিক উপাদানের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমান সময়ে ২০২০ সালের করোনা মহামারীর চলমান প্রভাব, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং সুদের হার পরিবর্তনের কারণে বাজার অনেকাংশেই অস্থির হয়ে আছে।

স্টক মার্কেটের প্রাথমিক ধারণা-  স্টক মার্কেট হল এমন একটি বাজার যেখানে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা-বেচা করেন। এ বাজারে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পদ বিনিয়োগ করে লাভের আশায় অংশীদার হয়। কোম্পানির শেয়ারের মূল্য কোম্পানির সামগ্রিক পারফরম্যান্স, আর্থিক অবস্থা, এবং বাজারের চাহিদার উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশের বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের ফলে স্টক মার্কেটের বিশ্লেষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।কোভিড – ১৯ মহামারি থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, টাকার মান হ্রাস এবং সাম্প্রতিককালে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত পরিবর্তনগুলোর ফলে বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এই অস্হিরতার ফলে বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন কৌশল এবং ঝুঁকি মাথায় রেখে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হচ্ছে ।

স্টক মার্কেটের মূল কার্যক্রম-  মূলত শেয়ার মার্কেট অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা কোম্পানির মূলধন সংগ্রহ এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (BSEC)। এটি দেশের শেয়ার মার্কেটের কার্যক্রম, নিয়মাবলী এবং নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে। BSEC শেয়ার বাজারের স্বচ্ছতা এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন নিয়ম ও বিধি বাস্তবায়ন করে থাকে।

বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটের প্রধান দুটি এক্সচেঞ্জ হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।এই এক্সচেঞ্জগুলো BSEC-এর নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এবং শেয়ার লেনদেনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে।

স্টক মার্কেটে কোনো কোম্পানিকে তার আর্থিক অবস্থা, ঝুঁকি, বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কিত তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানাতে বাধ্য করা হয় ।কোম্পানির স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং বিনিয়োগকারীদের সঠিক তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে এই তথ্য প্রকাশ করে। এখানে বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি লগ্নি করে এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের পুঁজি বৃদ্ধির আশায় শেয়ার ধরে রাখে। মূলত দুটি প্রধান উপাদান স্টক মার্কেটের করে।

স্টক মার্কেটের প্রধান কাজ হলো পুঁজিবাজারে তরলতা সৃষ্টি করা এবং কোম্পানিগুলোকে অর্থসংস্থান করার সুযোগ দেওয়া। একইসাথে, সাধারণ জনগণ বা বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনে যেন লাভের অংশীদার হতে পারে।

স্টক মার্কেটের বিশ্লেষণ পদ্ধতি-   স্টক মার্কেটের সঠিক বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হলো ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস ।সাধারণত এই পদ্ধতিতে শেয়ারের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করে কোম্পানির আয়, ব্যালেন্স শীট, নগদ প্রবাহ এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক উপাদান বিশ্লেষণ করা হয়। তাছাড়া কোম্পানির ঋণের উপর নজর রাখা হয়।বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ারের প্রকৃত মূল্য এবং বর্তমান বাজার মূল্যের তুলনা করে সিদ্ধান্ত করেন।

  আবার টেকনিক্যাল এনালাইসিস পদ্ধতিতে বাজারের অতীত তথ্য, শেয়ারের দাম এবং লেনদেনের পরিমাণ বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ  সম্পর্কে পূর্বাভাস করা হয়। চার্ট এবং বিভিন্ন নির্দেশক ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের ক্রয়-বিক্রয় সময় নির্ধারণ করে।

আর সেন্টিমেন্ট এনালাইসিস শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আবেগ এবং মনোভাব বিশ্লেষণ করে। এই পদ্ধতিতে খবর, সামাজিক মাধ্যমের প্রতিক্রিয়া, এবং বাজারের সামগ্রিক মেজাজকে বিবেচনায় নিয়ে শেয়ারের দাম পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

স্টক মার্কেটের বর্তমান অবস্থা-  বাংলাদেশে কোভিড – ১৯ মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ধীরগতি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। মহামারির শুরুতে বাজারগুলোতে ব্যাপক পতন ঘটলেও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর প্রণোদনা প্যাকেজ এবং আর্থিক সহায়তার কারণে বাজার পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক সহায়তা এবং সুদের হার কমানোর নীতির ফলে শেয়ারবাজার দ্রুত পুনরুদ্ধার করা সহজ হয়েছিলো। বাংলাদেশও এ নীতি অবলম্বন করতে পারে।তবে, মহামারির কারণে টেকনোলজি এবং স্বাস্থ্য খাতের শেয়ারগুলোর উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে, এছাড়া পর্যটন ও বিনোদন শিল্প ও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি এবং সুদের হার বাড়ানোর ফলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্য আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে।বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাও স্টক মার্কেটের উপর প্রভাব ফেলছে। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরাইলের আরব দেশগুলোর উপর বর্বরতার কারণে চলমান অস্থিতিশীলতার ফলে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাপক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে, যা তেলের দাম বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির মূল কারণ। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দেশ নতুনভাবে নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক নীতিগুলি পুনর্মূল্যায়ন করছে, যা বাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি করছে। এ প্রভাবের ঢেউ বাংলাদেশের উপরও পড়ছে এবং শেয়ারবাজারের নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করছে।

অক্টোবর ২০২৪-এর শুরুতে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়েছে, তবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা এখনো অনিরাপত্তার মাঝে রয়েছেন।কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বাজারে যে বড় পতন হয়েছিল,এখন তা আস্তে আস্তে ঠিক হচ্ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের(DSE) প্রধান সূচক সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা মন্দার সম্মুখীন হয়েছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার বাজারে ব্যাংক খাতের দৈনিক গড় লেনদেন কমে নেমে এসেছে ১২২ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ১৭৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংক খাতের দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি টাকা বা প্রায় ৩২ শতাংশ। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স  ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২৬ পয়েন্টে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংক খাতের দৈনিক গড় লেনদেন ৩২ শতাংশ কমে গেছে।

এখানে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৬৬ কোটি টাকা, যেখানে ব্যাংকিং, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং আইটি খাতগুলোতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। এছাড়া বাজারের প্রায় ৭২% শেয়ার দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে, ফলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনও মন্দাভাব বিরাজ করছে এবং বাজার অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম থাকছে।

বর্তমান বাজারের ঝুঁকি সুযোগ- স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে গিয়ে বর্তমান বাজারে বেশ কিছু ঝুঁকি এবং সুযোগ দুটিই রয়েছে।যা বিনিয়োগকারীদের  পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমন মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার বাড়ানোর ফলে কোম্পানির ঋণ গ্রহণের খরচ বেড়ে যায় , ফলে তাদের মুনাফার উপর প্রভাব পড়ে । ফলশ্রুতিতে স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ার থেকে নিরাপদ কোনো শেয়ারে তাদের সম্পদ বিনিয়োগ করার প্রবণতা দেখা যেতে পারে বা  দেখা যাচ্ছে।

যুদ্ধ, দেশগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা,আন্তর্জাতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের সংকট স্টক মার্কেটের স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলার কারণে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নিয়েই তাদের মূলধন লগ্নি করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের শেয়ার বাজারের মন্দাবস্থার কারণে যেকোনো সময় লোকসানের বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে।

কিন্তু শেয়ার বাজারে লোকসানের প্রবণতার মাঝে কিছু সুযোগও রয়েছে। যেমন নতুন প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন টেকনোলজি খাতের শেয়ারগুলো স্টক মার্কেটে ভালো ফলাফল করছে। আশার কথা, স্টার্টআপ ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ এখনো বজায় আছে।  প্রতিদিন এই খাতগুলোতে শেয়ার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ঊর্ধ্বমুখী ও লাভজনক হওয়ায় এবং দরপতনের ইঙ্গিত না থাকায় বিনিয়োগকারীরা এখাতগুলোতেই বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

এছাড়া মহামারির পর বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হওয়ায় শেয়ারবাজারে কিছু খাত, যেমন পর্যটন, হসপিটালিটি, এবং বিমান পরিবহন খাতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে।

ভবিষ্যৎ বাজারের পূর্বাভাস-  বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্টক মার্কেটের ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়।মুদ্রাস্ফীতি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানো কারনে বাজারের সরাসরি প্রভাব পড়ে।  যেমন, উচ্চ সুদের হার বন্ড মার্কেটকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে, যার কারণে স্টক থেকে বন্ডে বিনিয়োগ সরানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মার্কিন-চীন বাণিজ্য সংঘাতের মতো বিষয়গুলোও স্টক মার্কেটের ওপর বড় প্রভাব ফেলছে।রাজনৈতিক অস্থিরতাও বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করে  বাজারে ধস নামতে পারে । যদিও বাংলাদেশে বর্তমানে তেমন রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্ভাবনা নেই ,তবে একে পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া যায় না। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ বা সংকট চলমান রয়েছে, ফলে স্টক মার্কেটে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা দেখা দিতে পারে

কোম্পানিগুলোর আয়ের প্রবৃদ্ধি বাজারের স্বাস্থ্যের একটি বড় নির্দেশক। মহামারী পরবর্তী সময়ে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলোর আয় বেড়েছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে চিপ সঙ্কট, সরবরাহ চেইনের ব্যাঘাত এবং কর্মী সংকট এই আয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ফলে ভবিষ্যতে স্টক মার্কেটে প্রযুক্তি খাতের মন্দা দেখা দিতে পারে।

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিকল্প সম্পদের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে, বিশেষ করে ক্রিপ্টোকারেন্সি। ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে প্রতিটি লেনদেন একটি শৃঙ্খলে সুরক্ষিত থাকে যা সেই মুদ্রার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে । টিপ্টোকারেন্সির মার্কেট সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করাও কঠিন ,কেননা এ খাতে সহজেই অতি উর্ধ্বমুখী বা অতি নিম্নমুখী গতি দেখা যায়।

অর্থাৎ মূল কথা হলো- বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বাজারের দিকনির্দেশনা বিচার করে বলা যায় স্টক মার্কেট আগামী কিছু সময়ের জন্য অস্থিরতা এবং সংশোধনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। যদিও দীর্ঘমেয়াদে প্রযুক্তি খাত এবং উদ্ভাবনী সেক্টরগুলো প্রবৃদ্ধি দেখাতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ খাতে স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।

বর্তমান সময়ে স্টক মার্কেটের বিশ্লেষণ বেশ চ্যালেঞ্জিং। মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার বৃদ্ধি, এবং ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বাজার অস্থির। তবে, ফান্ডামেন্টাল, টেকনিক্যাল এবং সেন্টিমেন্ট এনালাইসিসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা করে এবং সঠিক কৌশল গ্রহণ করে এই অস্থির বাজারে সফল হতে পারে। স্টক মার্কেটের দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য প্রতিটি বিনিয়োগকারীকে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে এবং সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

লেখক: কাজী হেলাল

Tags

- Advertisement -