সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান কারাগারে

মাহমুদুর রহমান বিগত সরকারের সময় মানহানি মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার রায় জনিত কারণে দেশের বাইরে ছিলেন। প্রায় ছয় বছর পরে তিনি দেশে আসেন এবং আদালতে আত্মসমর্পণ করেন । আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

পরবর্তীতে তার আইনজীবী বলেন, মোঃ মাহমুদুর রহমানের নামে ২০১৫ সালে অতীত সরকারের প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় একটি মিথ্যা ঘটনা সাঁজিয়ে বাংলাদেশে মামলা করেছিল এবং সেই মামলার একজন বিচারক ওনার অনুপস্থিতিতেই তাকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছিল। উনার সাথে শফিকুর রহমান সহ আরো দুজন ছিলেন। এই মামলার ঘটনাস্থল আমেরিকায়, সেই জায়গায় কারসাজি করে বাংলাদেশের ঘটনাস্থল দেখিয়ে এই মামলাটি করা হয়েছিল। মাহমুদুর রহমান ও শফিক রহমানকে সাজা দিয়েছিলেন পাঁচ বছরের। আরেকটি সেকশন আছে ১২০বি ধারা- যেটা অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্রের শাস্তি। যা মূল অপরাধের সহযোগী অপরাধ,  সেটাতেও তাকে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়। অর্থাৎ বিচার ব্যবস্থার নিয়ম নীতিকে তারা তোয়াক্কা করেনি। মাহমুদুর রহমানকে একবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং জোর করে তাকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছিলো। তিনি সাবেক সরকার পদত্যাগের পর দেশে এসেছেন। আজকে তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে এসেছেন এবং তিনি কারাগারে যেতে চেয়েছেন ‘জামিন’ চাননি।

আমরা আদালতের কাছে তার জামিন প্রার্থনা করিনি, তাকে জেলে পাঠানোর কথা বলেছি। এবং তাকে যেনো প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা দেওয়া হয় সে আবেদন করেছি। জনাব মাহমুদুর রহমান কারাগারে গিয়েছেন, তিনি আপিল করবেন তারপর তিনি জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে  সেটাই আমাদের প্রত্যাশা । যেহেতু তার নামে পূর্বেরও বেশ কয়েকটি মামলা আছে, কিন্তু তিনি সেসব মামলার জন্য আদালতে হাজির হননি!  মূলত, যে মামলায় তার রায় হয়েছে, সেই মামলার জন্যই তিনি আদালতে হাজির হয়েছেন। 

Tags

- Advertisement -