বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী আরব আমিরাত

বাংলাদেশে নিযুক্ত আরব আমিরাতের  রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

রোববার নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের মিত্র-রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে দেশ দুটির মধ্যে সু-সম্পর্ক বিদ্যমান। সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, নিটওয়্যারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে। এ সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পুরোপুরি ভাবে বৃহৎ পরিসরে পুনরায় কাজ করতে আগ্রহী আরব আমিরাত, যার ফলে দু’দেশের জনগণই উপকৃত হবে বলে জানান আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত।

আরব আমিরাত রাষ্ট্রদূতের বিনিয়োগ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সব সময় বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে আসছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সাইডে বহুমাত্রিক সু-সম্পর্কে আছে। চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও আরব আমিরাতের বিনিয়োগের ইচ্ছেকে সাধুবাদ জানাই।

বানিজ্যিক বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয় দেশের মিত্রতাপূর্ণ সম্পর্ক আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা করেন উপদেষ্টা। বাংলাদেশের জন্য যা মঙ্গলজনক হবে,  সেই সকল বিদেশি প্রস্তাবকে বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচক বলে গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ হতে পূর্বের থেকেও বেশি পাটজাত পণ্য আমদানির আহ্বান করে উপদেষ্টা বলেন, সোনালি আঁশ পাট বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। এটি সহজতর পচনশীল ও পরিবেশবান্ধব।পাটের সোনালী অতীতকে আমরা আবার ফিরে আনবো। ইতোমধ্যে ২৮২ ধরনের পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন করা হয়েছে। যেটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলা যায়।

পরিবেশ দূষণরোধ করতে প্লাস্টিক ও পলিথিন সামগ্রী ব্যবহারে কঠিনতম বিধি নিষেধ আছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশের সকল সুপার শপে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ আরোপ করা আছে। দুবাইয়ের সুপারশপগুলোতেও এসব ক্ষতিকরক পণ্য ব্যবহারে বিধি নিষেধ রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে আরব আমিরাত সরকার বাংলাদেশ থেকে গুনগত মানসম্মত ও বৈচিত্র্যময় পাটজাত পণ্য আমদানি করতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সারাবিশ্বে পাটজাত পণ্যের চাহিদা ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও বস্ত্র কারখানা গুলোতেও বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত। আমি আশাবাদী সংযুক্ত আরব আমিরাতও বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্র শিল্পে আরোও বেশি বিনিয়োগ করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ‘ইউ এ ই’ রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি সহ তাদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিল। বৈঠককালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের দায়িত্বে) সঞ্জয় কুমার বণিক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহা-পরিচালক সহ মন্ত্রণালয়ের আরো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু’দেশের উন্নয়নমূলক ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক  কর্মকান্ড বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

Tags

- Advertisement -