এয়ার ফোর্স ও নেভি কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রসারিত

সাম্প্রতিক একটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তে, দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সারা দেশে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা ও ক্ষমতা আরও প্রসারিত হলো, যা দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুসংহত করবে।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে এই তথ্য সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি ইউএনবির একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই ক্ষমতা কমিশনপ্রাপ্ত সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে ক্যাপ্টেন এবং সমমানের পদমর্যাদার বা তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের। তাদের এই ক্ষমতা ৬০ দিনের জন্য কার্যকর থাকবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেটি প্রুর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১২ (১) এবং ১৭ ধারা অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত অফিসাররা বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা পাবেন। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২-এর অধীনে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

এই সিদ্ধান্তটি নতুন হলেও এর ভিত্তি গড়ে ওঠে ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪-এ জারি করা এক পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, যেখানে রাষ্ট্রপতির আদেশে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নতুন প্রজ্ঞাপনটি সেই ধারাবাহিকতায় আরও অগ্রসর পদক্ষেপ হিসেবে এসেছে, যার ফলে এখন নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারাও একই ক্ষমতা পাচ্ছেন।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীকে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

Tags

- Advertisement -