কমলা হ্যারিসের উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম ও আরব নেতাদের বৈঠক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম ও আরব নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল, বুধবার, এই ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন মুসলিম এবং আরব নেতারা।

গাজা উপত্যকা এবং লেবাননে ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ভোটারদের মন জয় করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কমলার প্রচার শিবির। এ পরিস্থিতিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। কমলা হ্যারিসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফিল গর্ডান বৈঠকে উপস্থিত থেকে জানান, প্রশাসন গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি, লেবাননে কূটনৈতিক কার্যক্রম এবং ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে স্থিতিশীলতা সমর্থন করে।

বৈঠকে লেবাননের বংশোদ্ভূত মার্কিন অ্যাটর্নি আলি দাগের মন্তব্য করেন যে, কমলা হ্যারিসের কার্যালয়ের ভূমিকা যথেষ্ট ছিল না। তিনি বলেন, “এটা খুবই সামান্য ছিল। খুব দেরি হয়েছে।” উল্লেখ্য, দাগের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।

আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। জনমত জরিপগুলো অনুযায়ী, এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

২০২০ সালের নির্বাচনে মুসলিম ও আরব ভোটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে গত প্রায় এক বছরে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি সমর্থন হ্রাস পেয়েছে। অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বিরতি আনতে বাইডেন এবং কমলা যথেষ্ট ভূমিকা রাখেননি।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে ৪১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া, গত এক বছর ধরে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান আন্তসীমান্ত লড়াইয়ে লেবাননে ১ হাজার ৯০০-এরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৯ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। লেবাননের সরকার সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গত দুই সপ্তাহে।

মার্কিন প্রশাসনের এই অবস্থান এবং মুসলিম ও আরব ভোটারদের মধ্যে চলমান ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে, কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবির কতটুকু সফল হতে পারে তা এখন সময়ই বলবে।

Tags

- Advertisement -