নয় বছর পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চলতি মাসে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে। এটি নয় বছর পর কোনো ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম পাকিস্তান সফর। ২০১৫ সালে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তান সফর করেছিলেন। সেই সময়ের পর থেকে দু’দেশের সম্পর্কের তিক্ততা এবং সীমান্ত সমস্যার কারণে উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক সফর খুব কমই হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ শুক্রবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, ভারতের প্রতিনিধি দল এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তান সফর করবে, আর সেই দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই সম্মেলন ইসলামাবাদে ১৫ ও ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের এই সফরকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি জাতিসংঘে পাকিস্তানকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে সমালোচনা করেছিলেন তিনি। মাত্র এক মাসের মাথায় তার এই পাকিস্তান সফর নয়াদিল্লির কৌশলগত একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যকার বিভিন্ন সীমান্ত এবং কূটনৈতিক ইস্যুতে দীর্ঘদিনের বিরোধ থাকলেও, এই সফর সেই উত্তেজনাকে কিছুটা প্রশমিত করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিগত বছরগুলোতে বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যু, সীমান্ত সংঘাত এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জটিল হয়ে উঠেছে। তবে, এসসিও সম্মেলনের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সাক্ষাৎ এবং আলোচনার সম্ভাবনা নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।

গত আগস্টে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এসসিও সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ৩০ আগস্ট নয়াদিল্লি এই আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। আমন্ত্রণপত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এসসিও কাউন্সিল অব হেডস অব গভর্নমেন্টের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। যদিও মোদির এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত নয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি সম্মেলনটিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসসিও একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্থা, যেখানে ভারত, চীন, রাশিয়া এবং পাকিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ সদস্য। এই সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হলো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

Tags

- Advertisement -