এশিয়ান ন্যাটো গঠনের পক্ষে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, চীনের দিকে নয় দৃষ্টি

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়াইয়া সম্প্রতি “এশিয়ান ন্যাটো” গঠনের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। টোকিওতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমার ধারণা, সমমনা দেশগুলোর বহুস্তরবিশিষ্ট নেটওয়ার্ক তৈরি ও বাইরের শক্তির কাছ থেকে আসা সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করার আঞ্চলিক সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়ার এই চিন্তাটি ভবিষ্যতের জন্য।”

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু গত সপ্তাহে এশিয়ান ন্যাটোর বিষয়ে তার অভিমত প্রকাশ করেন। ইওয়াইয়া এই চিন্তাকে দীর্ঘমেয়াদী হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এটি দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ইওয়াইয়াকে প্রশ্ন করেন, চীনকে মাথায় রেখে কি এ ধরনের অবকাঠামো তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে। এর জবাবে তিনি বলেন, “কোনো সুনির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে এটি গঠন করা হবে না।” তিনি উল্লেখ করেন যে, সামরিক শক্তিমত্তা প্রদর্শনে বিরত রাখতে ওয়াশিংটনকে পাশে নিয়ে একটি এশিয়ান ন্যাটো গঠন করা হলে চীনের আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে।

এ প্রসঙ্গে, ইওয়াইয়া জানান, “সবচেয়ে ভালো উপায় হবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক সৃষ্টি করা, যা কোনো সুনির্দিষ্ট দেশকে বাদ না রেখেই সম্পূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কার্যকর থাকবে।”

জাপানের নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি আলাদাভাবে সংবাদ সম্মেলনে জানান যে, প্রধানমন্ত্রী ইশিবা এখনো তার মন্ত্রণালয়কে এশিয়ায় ন্যাটোর সমতুল্য কোনো সংগঠন সৃষ্টির প্রস্তাব তৈরি করতে বলেননি।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু প্রতিরক্ষানীতি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। তিনি পূর্বে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সদস্য থাকাকালীন দেশের প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর ক্রমাগত চাপ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর, অনেকেই আশা করছেন যে তিনি জাপানের প্রতিরক্ষা খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেবেন।

এশিয়ান ন্যাটোর প্রস্তাবটি অবশ্যই জাপানের আঞ্চলিক নিরাপত্তা কৌশলকে নতুন করে নির্ধারণ করার একটি উদ্যোগ, যা সামনের দিনগুলোতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের geopolitics-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Tags

- Advertisement -