তিউনিসিয়ায় রবিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

২০২৪ সালের রবিবার, তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক মুহূর্ত। প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের নেতৃত্বে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ও এই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে।

প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ ২০১৯ সালে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল শূন্য। তিনি একজন স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাসে ঘটে যায় এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তন, যা অনেকেই “আত্ম-অভ্যুত্থান” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেই সময় সাইদ সংসদ স্থগিত করেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিচেম মেচিচিকে বরখাস্ত করেন এবং নির্বাহী কর্তৃত্ব গ্রহণ করেন। এ পদক্ষেপ তার ক্ষমতার পরিধি বাড়ানোর ইঙ্গিত দেয় এবং দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করে।

এরপর থেকে, তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও কঠিন বলে অভিহিত করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ অধিকার গোষ্ঠী। তারা অভিযোগ করেছে, সাইদের শাসনামলে নাগরিক স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের অধিকারের ওপর দমন-পীড়ন বেড়েছে। সমালোচক ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এই গোষ্ঠীগুলো। সাইদের সমালোচকদের মতে, তার শাসন দেশে গণতন্ত্রের পথকে সংকীর্ণ করছে।

তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও, দলীয় রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষের বিরূপ মনোভাব থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, প্রেসিডেন্ট সাইদের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়া প্রায় নিশ্চিত। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, আসন্ন নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু নাও হতে পারে। অনেকে এই নির্বাচনকে “কারচুপি” হিসেবে অভিহিত করছেন, যা নির্বাচনকে বৈধতা প্রদান করতে ব্যর্থ হতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে, তিউনিসিয়ার আগামী রাজনৈতিক অগ্রযাত্রা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।

Tags

- Advertisement -