মেঘনা, সিটি ও পিএইচপি গ্রুপের কোম্পানিগুলো আসছে পুঁজিবাজারে

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও পিএইচপি গ্রুপের কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ৭ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর কার্যালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং উল্লিখিত গ্রুপগুলোর শীর্ষ উদ্যোক্তারা।

বৈঠকে মূলত এই তিন গ্রুপের অধীনস্থ মৌলভিত্তি সমৃদ্ধ কোম্পানিগুলোকে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি অত্যন্ত জরুরি। বিএসইসি এ লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করছে, যাতে দেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের সুযোগ তৈরি হয় এবং বাজারের ব্যাপ্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।

বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর এবং ফারজানা লালারুখ, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং তিনটি গ্রুপের শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান এবং পিএইচপি গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ বৈঠকে তাদের কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, “মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ এবং পিএইচপি গ্রুপ শুধু বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। রাসায়নিক, খাদ্যপণ্য, রিয়েল এস্টেট, ইস্পাত, শিপিং, জ্বালানি এবং আরও অনেক খাতে তাদের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠিত ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা হলে একদিকে যেমন দেশের পুঁজিবাজার শক্তিশালী হবে, অন্যদিকে শিল্প খাতের বিকাশও ত্বরান্বিত হবে।”

এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেন যে, ভবিষ্যতে বিএসইসি অন্যান্য বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলোর সাথেও বৈঠক করবে, যাতে তারা তাদের শক্তিশালী কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসে। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে নতুন গতি আসবে এবং বাজার আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিএসইসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো একটি স্বচ্ছ, গতিশীল এবং আধুনিক পুঁজিবাজার তৈরি করা, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ ও উপযুক্ত হবে। পুঁজিবাজারে সংস্কার, উন্নয়ন এবং সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিএসইসি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।”

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএসইসি আশা করছে, পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তির ফলে বিনিয়োগকারীরা আরও আকর্ষণীয় ও স্থিতিশীল বাজার পাবেন। এর ফলে, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও শিল্পায়ন আরও গতিশীল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Tags

- Advertisement -