শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে কমিশনের দায়িত্ব অপরিহার্যতা


শিক্ষা একটি জাতির উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার। প্রতিটি দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির পেছনে শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম। উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করতে একটি দেশের নাগরিকদের গুণগত শিক্ষা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা অপরিহার্য। এছাড়া উচ্চ মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একটি গবেষণাধর্মী ও কাঠামোবদ্ধ এবং দক্ষ শিক্ষা কমিশন গঠন করা অনস্বীকার্য। কেননা একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার ভার সাধারণত শিক্ষা কমিশনের উপরে ন্যস্ত থাকে।

বর্তমানে দেশের শিক্ষা কমিশনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে এ কারণে যে বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো স্থায়ী বা নির্দিষ্ট শিক্ষা কমিশন নেই যা নিয়মিত কাজ করছে। তবে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষানীতি ও কারিকুলাম উন্নয়নের জন্য সরকার বিশেষ কমিশন বা কমিটি গঠন করে। সাম্প্রতিক সময়ে ২০২০ সালের “জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB)” নতুন কারিকুলাম প্রণয়নের জন্য কাজ করেছে। এ ধরনের বিশেষায়িত সংস্থা ও কমিটিগুলো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে, কিন্তু স্থায়ী শিক্ষা কমিশন হিসাবে কাজ করে না। বাংলাদেশে কার্যকর শিক্ষা কমিশন না থাকলে শিক্ষাব্যবস্থায় কয়েকটি বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমত, শিক্ষানীতির প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা সংস্কার সঠিকভাবে করা সম্ভব হবে না, ফলে শিক্ষার্থীরা আধুনিক জ্ঞান ও দক্ষতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের অভাবে শিক্ষার্থীরা চাকরি বাজারে প্রতিযোগিতামূলক দক্ষতা অর্জন করতে ব্যর্থ হবে। তৃতীয়ত, মানসম্মত শিক্ষার ক্ষেত্রে অঞ্চলভেদে বা স্কুলভেদে বৈষম্য বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া, নতুন প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয় করা কঠিন হয়ে পড়বে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

শিক্ষা শুধু জ্ঞান অর্জন বা পাঠ্যক্রম মুখস্থ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি একজন মানুষের বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, এবং মূল্যবোধের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু আজকের শিক্ষা ব্যবস্থায় মানসম্পন্ন শিক্ষার অভাব লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে পাঠ্যক্রমে প্রাসঙ্গিকতার অভাব, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ঘাটতি, এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনমূলক চিন্তাভাবনার অনুপস্থিতি শিক্ষার গুণগত উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য অধিকারভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আমাদের চলমান শিক্ষাব্যবস্থা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে হবে।

একটি দেশের শিক্ষার ধরন হওয়া উচিত সমন্বিত যেখানে সব ধরনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে মেধাবী শিক্ষার্থী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন থেকে শুরু করে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। যেন বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও ভাষা সংস্কৃতির মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) হল এটি জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ, যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত সমস্যার সমাধান করা। এসডিজি-তে মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যার মধ্যে দারিদ্র্য দূরীকরণ, ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব, মানসম্মত শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, সবার জন্য সুস্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। এ কাঠামোতে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর ব্যাপক জোর দেয়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশের এসডিজিতে সফলতা পেতে হলে শিক্ষার গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি সাধনের জন্য শিক্ষাকে সৃজনশীল ও বাস্তবসম্মত করে তুলতে হবে। শিক্ষার এমন ব্যবস্থা করতে হবে যেন শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটিয়ে সমাজে একজন সু প্রতিষ্ঠিত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে দেশে টেকসই শিক্ষা কাঠামোর অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। কোন সরকারই শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, প্রাসঙ্গিক, দেশের পরিস্থিতির সাথে মিল রেখে ও আর্থ-সামাজিক কাঠামোর ভিত্তিতে শিক্ষাক্রম চালু করতে পারেনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে এই কমিশনটি প্রতিষ্ঠিত হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. কুদরাত-ই-খুদা। কমিশনের সদস্যরা তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য মনোনীত হন। যদিও এ শিক্ষা কমিশন তার প্রাতিষ্ঠানিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর দীর্ঘমেয়াদে কোনো কার্যকরী বাস্তবায়ন পায়নি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে এই কমিশনের সুপারিশগুলো কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এরপর সামরিক শাসন এবং নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তনের জন্য নতুন কোনো বড় ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ড. কুদরাত-ই-খুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশগুলো বাতিল বা পরিত্যক্ত হয়ে যায় এবং নতুন কোনো শিক্ষা কমিশন বা পলিসি নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়। ১৯৮৮ সালে “মজিদ খান শিক্ষা কমিশন” শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের দিকে নজর দেয়, যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে সমান সুযোগ, মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।২০২৩ সালে নতুন শিক্ষাক্রম প্রবর্তিত হয়, যা ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষার ওপর জোর দেয়। অর্থাৎ বিভিন্ন সময় অসময়ে পরিবর্তিত হয়েছে পাঠ্যসূচি ও পরীক্ষার ধরন। যেমন পিইসি, জেএসসি কখনো বা সৃজনশীল পদ্ধতি চালু বা বন্ধ করে শিক্ষা ব্যবস্থার বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। এ অবস্হা থেকে উত্তরণের জন্য একটি কার্যকর ‘শিক্ষা কমিশন’ গঠন করলে তা শিক্ষাব্যবস্থায় বেশ কিছু প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করতে পারবে।


শিক্ষা কমিশন গঠনের সম্ভাব্য সুফল-
আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক অথচ ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রকৃত জ্ঞানকে বাধাগ্রস্থ করছে। তাই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কারিকুলাম প্রণয়ন করে কর্ম জীবনমুখী শিক্ষার গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার মধ্যে মৌলিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা কমিশন গঠন করলে তারা বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা নীতি তৈরি করতে পারবে, যা গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। এ ধরনের নীতিমালা শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী দক্ষতা ও সুপ্তমেধা বিকাশে সাহায্য করবে এবং উন্নয়নের সহায়তা করবে।

শিক্ষকরা শিক্ষার মান উন্নয়নের মূল স্তম্ভ। তবে বাংলাদেশে অনেক শিক্ষকের প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। শিক্ষা কমিশন গঠন করা হলে তারা একটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম গড়ে তুলে শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে পারবে, যাতে শিক্ষকেরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাছাড়া শিক্ষা কমিশনের কার্যপরিকল্পনার মধ্যে শিক্ষকদের কাজের মূল্যায়ন করে পদোন্নতি দেওয়া অথবা যোগ্যতা অনুসারে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা এবং মানসম্মত বেতনের ব্যবস্থা করলে শিক্ষকদের পেশাদারীত্বে উন্নয়ন আশা করা যায়। এক্ষেত্রে শিক্ষা কমিশন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়াও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার মধ্যে একটা বড় ফাঁক দেখা যায়। এই ফাঁক দূর করতে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ধারাবাহিক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে শিক্ষা কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা অনেক সময় উপেক্ষা করা হয়। শিক্ষার্থীদের মানসির চাপ এবং উদ্বেগ এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে বর্তমান যুগের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি বেশি দেখা যাচ্ছে এবং তার ফলাফল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সঠিক কাউন্সিলিং ও সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষা কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।


শিক্ষা কমিশনের সম্ভাব্য কাঠামো-
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে শুধু শিক্ষা কমিশন গঠন করলেই হবে না, বরং একটি কার্যকর কমিশন যেন গঠিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।তাই এর কাঠামোর দিকে বিশেষ নজর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি বাংলাদেশে একটি নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়, তাহলে এর কাঠামো এমনভাবে তৈরি করা উচিত যাতে তা ভবিষ্যতের শিক্ষার চাহিদা, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। কমিশনের প্রধান হিসেবে এমন একজন ব্যক্তি থাকা উচিত যিনি শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ এবং দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সদস্যপদে বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যেমন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, নীতিনির্ধারক, মনোবিজ্ঞানী এবং প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞ। এ কমিশনে বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক মানের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যাতে শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান উন্নত করা যায়। কেননা একটি শিক্ষা কমিশন গঠনের জন্য মূল লক্ষ্যই থাকবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগতমান উন্নয়ন। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার জন্য ছাত্র প্রতিনিধিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি কার্যনির্বাহী কমিটিও গঠন করা যেতে পারে, যার মধ্যে থাকবে গবেষণা ও উন্নয়ন, পাঠ্যক্রম উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত শিক্ষার বিশেষায়িত বিভাগ। শিক্ষা কমিশনে বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত জরুরী, কারণ একটি সামগ্রিক শিক্ষানীতি তৈরি করতে হলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষাবিদ, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের মতামত যুক্ত করতে হবে। যাতে নীতি বাস্তবায়নের পর্যায়ে সফল হয়। একতরফা দলীয় সিদ্ধান্ত বা একমাত্র সরকার প্রতিনিধি দ্বারা গঠিত কমিশন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক বৈচিত্র্য ও বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটাতে পারে না। তাই শিক্ষা কমিশনে যেন যোগ্যতার সম্পন্ন কোন বিশেষ দলীয়করণের প্রভাবমুক্ত লোক ঠাঁই পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

একটি শিক্ষা ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদী ও সাফল্যের জন্য শিক্ষা নীতি অপরিহার্য। তবে নীতিমালার ক্ষেত্রে জাতীয় আন্তর্জাতিক মানদন্ড বিবেচনা করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ কাঠামো তৈরি করতে হবে। এতে শিক্ষার মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষার্থীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে নীতিমালা উপযোগী পর্যালোচনা এবং সংশোধন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত।

মূলত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সংকট অনেক দিনের। যে দেশে শিক্ষাব্যবস্থা যত বেশি উন্নত সে দেশ তত বেশি উন্নত।আজ যারা রাষ্ট্রের বড় বড় পর্যায়ে আছেন তারা সবাই যথাযথ শিক্ষার আলোকেই এভাবে গড়ে উঠেছেন। বর্তমান বিশ্বে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। এই পরিস্থিতিতে, একটি শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা কমিশনের প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান সময়ে বেশি প্রয়োজন। সুতরাং, শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সুসংগঠিত ও দক্ষ শিক্ষা কমিশন গঠন করা সময়ের দাবি।

Tags

- Advertisement -