সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ছয় মাসে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনির নির্মম হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আজ, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ প্রদান করেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে হাইকোর্ট এই মামলার তদন্তের জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। সেই সাথে র‌্যাবকে মামলার তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালতের আদেশ অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। আদেশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যা তদন্ত কাজ সম্পন্ন করবে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার ও তার স্ত্রী, এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। তাদের হত্যা এখনো সমাধান হয়নি এবং দীর্ঘদিন ধরে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। এই ঘটনার পর থেকে ন্যায়বিচারের দাবি করে আসছে সাংবাদিক সমাজ এবং দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের মামলা নতুন মাত্রা পায় যখন গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিশিষ্ট ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরকে মামলার আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মামলার দীর্ঘায়িত তদন্তের কারণে এই নিয়োগ বেশ গুরুত্ব বহন করে। অনেকের মতে, এই নতুন আইনজীবী নিয়োগ মামলার অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে পারে এবং দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত এই হত্যাকাণ্ডের সমাধান এনে দিতে পারে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুরু থেকেই নানা অনিয়ম এবং ধীরগতি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ তদন্ত চলমান থাকায় এটির দ্রুত সমাধানের দাবি বেড়ে গেছে। হাইকোর্টের এই নতুন আদেশের মাধ্যমে তদন্তে গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সাংবাদিক সমাজ এবং সাধারণ মানুষ এখন অপেক্ষায় আছে, কবে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

Tags

- Advertisement -