দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত হলেও বিরামপুর পৌর এলাকা জুড়ে ঘোড়াঘাট রেলগেট অপেক্ষাকৃত চাপা। সেই সাথে দুটি গাড়ি চলাচল করতে পারে না তাই উভয় দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়।
আবদুর রহমান (রেলওয়ের গেট কিপার) বলেন, ট্রেন ছাড়ার পর প্রায় ৩০ মিনিটের বেশি সময় যানজট থাকে। অনেক সময় দেখা যায় রেলগেটে দুটি গাড়ি একসাথে উঠে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী ও যাত্রীরা।
বিরামপুর উপজেলার উপর দিয়ে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক। এ মহাসড়কে তীব্র যানজটের জন্যে কিছুদিন আগে মহাসড়কটি প্রশস্ত করা হয়। তবে সড়কের তুলনায় বিরামপুর দক্ষিণ ঘোড়াঘাট রেলগেট প্রশস্ত করা হয়নি। তাই প্রশস্ত রেল গেট দিয়ে একাধিক যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ট্রেন আসা এবং ছাড়ার পর গেট খুলে দিলে একের পর এক যানবাহনকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। যার ফলে যানজটে আটকা পড়ে যায় যাত্রীরা।
মমতাজুল হক (বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) জানায়, রেলগেটটি চাপা হওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। যানজটের কারণে গেটের দুই পাশে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের মনছুরুল আজিজ তারেক (নির্বাহী প্রকৌশলী) জানান, রেলগেট প্রশস্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে রেল গেট প্রশস্ত করার কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে।