সংখ্যালঘু নির্যাতন ও খিলাফত ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধানের মন্তব্যে অসন্তোষ, বিভ্রান্তিকর বলছে অন্তর্বর্তী সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ বিষয়ে মন্তব্যকে ‘গুরুতর’ আখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, সেটিই মন্ত্রণালয়ের অবস্থান।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্যাবার্ড দাবি করেন, বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ‘দীর্ঘদিন ধরে চলমান নিপীড়ন ও সহিংসতা’ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্বেগের প্রধান কারণগুলোর একটি।
তিনি আরো বলেন, “ইসলামপন্থি খিলাফতের অধীনে শাসন ব্যবস্থার ধারণা ও আদর্শ থেকে উৎসারিত সন্ত্রাসী তৎপরতা আমাদের দৃষ্টিতে বৈশ্বিক হুমকি।” গ্যাবার্ডের মতে, বাংলাদেশে এ ধরনের আদর্শগত সন্ত্রাসের হুমকি এখনও বিদ্যমান।
এই মন্তব্যের পর রাতেই প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এক বিবৃতিতে বলা হয়, গ্যাবার্ডের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর, যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে।
সরকারের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, “বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলামী সংস্কৃতির দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত। চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।”
সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, “এই ধরনের অভিযোগ বাস্তবতা বিবর্জিত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এদিকে সোমবার স্থানীয় সময় ওয়াশিংটনে নতুন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য ওয়াশিংটনের অবস্থানের ইঙ্গিত দেয় কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে বিষয়টি কূটনৈতিক অঙ্গনে নজরদারির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।