জাতীয় নির্বাচনে ‘ডিসাইডিং ফ্যাক্টর’ হবে আওয়ামী লীগের ভোটাররা—এমনটাই মনে করেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল।
শনিবার (২৮ জুন) নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘কথা’-তে দেওয়া এক বিশ্লেষণে তিনি বলেন, “নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো চেষ্টা করবে আওয়ামী লীগের ভোটারদেরকে যতটা সম্ভব কেন্দ্রে আনতে। কিন্তু আমি আগের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে যে আন্তরিকতা ও সম্পৃক্ততা থাকে, তার ভিত্তিতে বলছি—আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি সিদ্ধান্ত নেন ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার, তাহলে এই সরকারের জন্য আগামী নির্বাচন একটি বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।”
ড. ইউনূসের একটি মন্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “ড. ইউনূস মাঝে মাঝে বলেন, তিনি ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেবেন। আমার মনে হয় তখন উনার মনে হবে—না ইতিহাস বুঝি, না সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন বুঝি।”
জরিপে উঠে আসা ভোটার প্রবণতা
মাসুদ কামাল বলেন, “প্রায় এক মাস আগে, যখন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, আমি একটি জরিপ চালাই। সেখানে প্রশ্ন ছিল—যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, তাহলে তাদের ভোট কোথায় যাবে?”
তিনি জানান, ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ওই জরিপে ৭৮ হাজার দর্শক অংশ নেন। এর ফলাফল অনুযায়ী:
- ৫% বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভোট যাবে এনসিপির দিকে
- ১৯% বলেছে, যাবে বিএনপির দিকে
- ৬% মনে করেন, আওয়ামী লীগের ভোট যাবে জামায়াতের পক্ষে
- আর ৭০% মনে করেন, আওয়ামী লীগের ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবেন না
কম ভোটে বড় লড়াই
মাসুদ কামাল বলেন, “জরিপ অনুযায়ী ৩০% মানুষ এখনো ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার কথা বলছে। এই ৩০ শতাংশ ভোটারকে ঘিরেই শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। জামায়াতও এই ভোটের অংশ চাইবে। তারা বলবে—৫০ না দেন, অন্তত ৪০ দেন।”
তিনি মনে করেন, এই ভোটের লড়াই দিনে দিনে আরও তীব্র হবে। জামায়াত নিজের অবস্থান দৃঢ় করতে চাইবে। বিএনপি তার ভোটারদের ধরে রাখবে। অন্যদিকে, জামায়াতের ভোটারদের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই—তারা জামায়াতকেই ভোট দেবে। এনসিপি যতটুকু আছে, সেটাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমবে বলে মনে করেন তিনি।