চলতি বছরের হজ মৌসুমে বাংলাদেশের কোটা ছিল এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষে দেখা যাচ্ছে, এখনো দুই-তৃতীয়াংশ আসন খালি পড়ে আছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় হজের নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
সোমবার দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে গিয়ে দেখা গেছে, নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন মোট ৪৬ হাজার ৬০০ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার জন্য নাম লিখিয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ৬৮৬ জন, আর বাকি ৪১ হাজার ৯১৭ জন নিবন্ধন করেছেন বেসরকারি ব্যবস্থায়।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি কিছু সময় পর পর এই সংখ্যা আপডেট হচ্ছে। তবে সামগ্রিক চিত্র বলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক আবেদন আসেনি।
এখন প্রশ্ন উঠেছে—নিবন্ধনের সময় আর বাড়বে কি না? ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত সৌদি সরকারের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে। সৌদির নির্ধারিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, গত রবিবারই নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশ থেকে সময় বাড়ানোর অনুরোধ পাঠানো হয়েছে।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ইতিমধ্যে নিবন্ধনের সময় ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন জানিয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যদি সৌদি সরকার সম্মতি দেয়, তবে মন্ত্রণালয় নতুন সময়সীমা ঘোষণা করবে।
উল্লেখ্য, সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বেসরকারি উদ্যোগে হজযাত্রীদের জন্য তিনটি করে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয় গত ২৮ ও ৩০ সেপ্টেম্বর। প্রাথমিক নিবন্ধনের জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছে, আর বাকি অর্থ পরিশোধের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হবে হজ। এখন দেখার বিষয়, কোটা পূরণের জন্য সরকার সময় বাড়ানোর অনুমতি পায় কি না—তা-ই নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের হজযাত্রার পরবর্তী ধাপ।

