দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে আনুষ্ঠানিক মর্যাদা পেল কক্সবাজার বিমানবন্দর।
রবিবার (১২ অক্টোবর) সরকারের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে পর্যটননগরী কক্সবাজারের বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর ফলে ঢাকার হযরত শাহজালাল, সিলেটের ওসমানী এবং চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের পর কক্সবাজার যুক্ত হলো দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তালিকায়।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দ্য সিভিল অ্যাভিয়েশন রুলস, ১৯৮৪’–এর ক্ষমতাবলে এই ঘোষণা কার্যকর করা হয়েছে, যা জনস্বার্থে অবিলম্বে বলবৎ হবে।
কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রকল্প শুরু হয়।
প্রকল্পের আওতায় রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুট করা হয়, যাতে বড় আকারের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারে।
সরকার পরিবর্তনের পর আগের কিছু উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও কক্সবাজার বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ অব্যাহত থাকে। চলতি বছরের মার্চে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সরেজমিনে প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
এরপর বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারাও নিয়মিত নির্মাণকাজ তদারকি করেন।
তবে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রস্তুত করার সরকারি উদ্যোগ থাকলেও এখান থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো এখনো আগ্রহ দেখায়নি।
চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাজ্যগামী ফ্লাইট নিয়মিত চললেও কক্সবাজার রুটকে এখনো বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক মনে করছে না তারা।
তবু কিছু ইতিবাচক উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চলতি মাস থেকেই কক্সবাজার–ঢাকা–কলকাতা রুটে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই রুট চালু হলে কক্সবাজার থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক যাত্রার নতুন দ্বার খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

