রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে চলা খোঁড়াখুঁড়ি শুষ্ক মৌসুমেও অব্যাহত থাকবে। এতে ধুলাবালি ও পরিবেশদূষণের পাশাপাশি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
১০ নম্বর সেকশন সংলগ্ন বাউন্ডারি রোড, ফলপট্টি, কবরস্থান রোড, সমাজকল্যাণ রোড, জনতা হাউজিং ও বিএভিএস মেটার্নিটি হাসপাতালের আশপাশে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত সংস্কারের কাজ চলছে। ইমপ্রুভমেন্ট অব ডিফারেন্ট ড্যামেজড রোড অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড সার্ভিস প্যাসেজ ডেভেলপমেন্ট (আইডিআরআইএসপি) প্রকল্পের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এই কাজ পরিচালনা করছে।
কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৬ সালের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ বর্ষার আগে কাজ শেষ হবে, যার ফলে জনগণকে শুষ্ক মৌসুমে আরো প্রায় পাঁচ-ছয় মাস ভোগান্তি সহ্য করতে হবে।
সংস্কারের আওতায় ৩১টি রাস্তার পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় তিন হাজার ছোট-বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২০ হাজার পরিবার ও দৈনিক পাঁচ লাখ মানুষের যাতায়াত হয়। দীর্ঘদিনের কাজ বিলম্বের কারণে ব্যবসা কার্যত স্থবির, ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাউন্ডারি রোডের সাজিদ অটো মোটরসাইকেল দোকানের স্বত্বাধিকারী হুমায়ূন কবির সুমন বলেন, “প্রায় আড়াই মাস ধরে ব্যবসা বন্ধ। ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৫-২০ দিনে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। কর্মচারীদের বেতনও দিতে পারছি না। মানবিক কারণে দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।”
স্থানীয় বাসিন্দা জাহানারা জানান, রাস্তার খানা ও ধুলাবালির কারণে নিয়মিত হাসপাতালে যাওয়াই কঠিন, বিশেষ করে তার কিডনি রোগে আক্রান্ত বাবাকে ডায়ালাইসিসের জন্য নিয়ে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামান কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার কাওসার হামিদ বলেন, “অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে কাজ বিলম্ব হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ছয় মাসে কাজ শেষ হবে।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম বলেন, পাইপলাইনের কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। পাইপলাইন শেষ হলে ফুটপাত ও রাস্তার কাজ শুরু হবে। আশা করা যায়, ২০২৬ সালের মার্চ বা এপ্রিল নাগাদ বর্ষার আগে পুরো কাজ সমাপ্ত হবে।

