সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন। এই সভায় অংশগ্রহণ করবেন দেশের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি, যা সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এক সমন্বিত উদ্যোগ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. আসিফ ইকবাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সভায় আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে থাকছে অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি এবং অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয়, যা দেশের বিচারব্যবস্থার গতিশীলতা এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ফুলকোর্ট সভার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট বোর্ড আশা করছে, বিচারকদের দক্ষতা ও ন্যায়বিচারের মান বৃদ্ধি পাবে। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং জেলা আদালতে বিচারক বদলি ও পদোন্নতি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে আদালতের কার্যক্রমে। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপ বিচারিক্যাল প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের মতে, এই সভায় বিভিন্ন বিভাগের বিচারকদের কর্মক্ষমতা, অভিজ্ঞতা এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট আশা করছে, দেশের নিরাপদ, কার্যকর ও স্বচ্ছ বিচার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
এছাড়া, বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতি সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি, ফুলকোর্ট সভায় অন্যান্য প্রশাসনিক নীতিমালা ও কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সভার সিদ্ধান্তগুলো আগামী দিনে দেশের সকল আদালতে বাস্তবায়িত হবে এবং বিচার ব্যবস্থাকে আরও ফলপ্রসূ ও সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই উদ্যোগ বিচারক এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ায় আস্থা বৃদ্ধি করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশের বৃহত্তর বিচার ব্যবস্থা দেশের আইন এবং সংবিধান রক্ষার ক্ষেত্রে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।

