দেশের উত্তরাঞ্চলে শীত যেন আগেভাগেই দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে। কয়েক দিন ধরেই সকাল-বিকেলে বইছে হিমেল হাওয়া, আর সন্ধ্যা নামলেই সেই ঠাণ্ডা বাতাসে কাঁপুনি ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত। রাজশাহী, রংপুর কিংবা দিনাজপুর—সবখানেই এখন বাতাসে শীতের গন্ধ।
রোববার সন্ধ্যায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
বিডব্লিউওটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৯ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পঞ্চগড়, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, শেরপুর ও জামালপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে রাতের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে।
তবে দিনের বেলায় সূর্যের উপস্থিতি থাকায় তেমন ঠাণ্ডা অনুভূত হবে না। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা থাকবে ২৮ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। অর্থাৎ সকাল-সন্ধ্যার শীত আর দুপুরের গরমের মধ্যে চলছে মৌসুমি দোলাচল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২০ ঘণ্টার সাম্প্রতিক পূর্বাভাসেও ইঙ্গিত মিলেছে—আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। অর্থাৎ, এখনকার হালকা শীতই হয়তো কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রূপ নেবে পূর্ণ শীতে।
উত্তরাঞ্চলের মানুষ এখনই ঘরে নিচ্ছে কম্বল-চাদর, সকালের কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে মাঠ-ঘাট। শীত আসছে—এটা এখন শুধু ক্যালেন্ডারের তারিখে নয়, বাতাসের স্পর্শেই টের পাওয়া যাচ্ছে।

