জুলাই ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের মরদেহ রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনে উত্তোলন করা হবে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম পরিদর্শন করে এই তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. সিবগত উল্লাহ।
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন খান জানান, ঢাকার একটি আদালতের আদেশ অনুযায়ী রোববার মরদেহ উত্তোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ময়নাতদন্তের পর মরদেহগুলো যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পুনরায় দাফন করা হবে।
সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি (প্রধান) মো. সিবগত উল্লাহ জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৯টায় রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে। এ কার্যক্রমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুই ফন্দেব্রাইডার ও ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীদের একটি দল উপস্থিত থাকবেন।
সিআইডি কর্মকর্তারা বলেন, বিভাগের অপরাধ দৃশ্য ইউনিট কবরস্থানে তাবু ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করেছে, যাতে মরদেহ উত্তোলনের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।
গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলামের আবেদনের পর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, নিহতদের পরিচয় শনাক্তের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, “ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য মরদেহ উত্তোলন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ অপরিহার্য।” এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন শহীদকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।

