দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় রাখতে আজ (রোববার) থেকে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। প্রতি দিন ৫০টি করে আমদানি অনুমতি (আইপি) ইস্যু করা হবে। প্রত্যেক আইপিতে সর্বাধিক ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে।
গতকাল শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে যারা আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, শুধুমাত্র তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারই আবেদন করার সুযোগ পাবেন। পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মাসখানেক আগে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজির দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় ওঠে। পরে সরকার আমদানির অনুমতি দিলে দাম ধীরে ধীরে নেমে আসে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। গত সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে পেঁয়াজ পর্যাপ্ত মজুত আছে। নতুন পেঁয়াজও শিগগিরই বাজারে আসবে। তাই কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় সরাসরি আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে কিছু মজুতদার ব্যবসায়ী সরকারের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন।
টিসিবির তথ্যানুসারে, গত বছরের তুলনায় এখনো পেঁয়াজের দাম ১০ শতাংশ কম। বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ না এলেও পাতাযুক্ত পেঁয়াজ এসেছে, যা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ‘আমদানি হবে না’ এমন খবরের কারণে দর বাড়ছে। মজুতদার ও কৃষক পর্যায়ে দর বাড়ার প্রভাব পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়ছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ৯ নভেম্বর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে দাম না কমলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছিলেন, “দেশে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত আছে। আগামী দুই সপ্তাহে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তারপরও যদি দাম না কমে, তখন আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।”

