প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র স্কুলিং মডেলভিত্তিক খসড়া অধ্যাদেশ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষায় অনিশ্চয়তা তৈরি করার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে পাঁচ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নিলে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সকালে ঢাকা কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা স্কুলিং মডেল বাতিল এবং উচ্চমাধ্যমিকের স্বতন্ত্র কাঠামো বজায় রাখার দাবি জানান। পরে পাঁচ কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে শাহবাগে অবস্থান নেন।
ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, “স্কুলিং মডেল চালু হলে পাঁচ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে। আমরা আগেও প্রতিবাদ করেছি, আজও নেমেছি। এই পদ্ধতি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
অন্যদিকে, প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাদেশ দ্রুত জারির দাবিতে সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা আজও রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম স্থগিত থাকা এবং খসড়া অধ্যাদেশ প্রকাশের পরও চূড়ান্ত অগ্রগতি না হওয়ায় তারা শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচি চালাবেন। শিক্ষার্থীদের দাবি—অধ্যাদেশ দ্রুত জারি করতে হবে যাতে পরিচয় সংকট ও অ্যাকাডেমিক অনিশ্চয়তার সমাধান হয়।
সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের অর্গানাইজিং উইং থেকে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে মতামত গ্রহণ এবং তিন দফা বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এতে দেড় লাখ শিক্ষার্থীর উদ্বেগ আরো বেড়েছে।
এর আগে ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছিল, সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব এড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়েছিল।

