মুষলধারে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারনে নিম্নগামী পানির চাপে শেরপুরের ৫ উপজেলায় ২ শতাধিক গ্রাম তলিয়ে গেছে। গত ৩দশক পরে এবছরের সব থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতির কবলে পড়েছে জেলার পরিবারগুলো। এ পর্যন্ত ৬-৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এ অঞ্চলে।
ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে তবে নিম্নাঞ্চলের অন্তত দুই শতাধিক গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। নালিতাবাড়িতে রাস্তা ভেঙে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। পুনরায় শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলার আরও বেশ কয়টি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পাহাড়ি নদী মহারশী, ভোগাই, সোমেশ্বরী, কর্ণঝোড়া ও চেল্লাখালীতে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। মুশলধারে বৃষ্টি আরও অব্যাহত থাকলে বন্যার পরিস্থিতি আরও বেশি অবনতি হবে। ধীরে ধীরে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা আরও বেড়েই চলছে। ৩ উপজেলায় এ পর্যন্ত অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশাপাশি আমন আবাদ, মাছের ঘের, সবজি আবাদসহ কৃষির সকল চাষাবাদ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন।
কৃষি সম্পসারণ বিভাগ জানিয়েছে, বন্যার পানিতে সর্বনিম্ন ২০ হাজার হেক্টর আমন ধান ও ১৫০০ হেক্টর সবজির চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার ফলে এ পর্যন্ত ৫০হাজারের বেশি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত।
শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, জেলার ৩টি নদীর পানি অতিমাত্রায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫জন মারা গেছেন। দুর্গতদের উদ্ধার কাজ ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা সবাই কাজ করে যাচ্ছি। নতুন করে যে এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে, সেই এলাকা গুলোর খোঁজ-খবর প্রতিনিয়ত নিচ্ছি ও সাথে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করা যায় বৃষ্টির পরিস্থিতি কমলে বন্যার অবস্থা উন্নতি হবে।