পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা মূলধন ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। গতকাল সোমবার এ অর্থ ব্যাংকের নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের ইক্যুইটি বা মূলধন খাতে থাকা ২৪ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা থেকেই এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটি লাভে ফিরলে সেই লাভ সরকার পাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যাংকটি স্থিতিশীল হলে তিন বছর পর ধাপে ধাপে এ ২০ হাজার কোটি টাকার সরকারি শেয়ার বেসরকারি খাতে ছাড় দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে নিবন্ধিত হয়েছে। নতুন ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকারের অংশ ২০ হাজার কোটি টাকা। আজ বাংলাদেশ ব্যাংক এটিকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মূলধনের পরিমাণ বিবেচনায় এটি দেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আমানতকারীদের নিরাপত্তায় তারা সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিপোজিট সুরক্ষা অধ্যাদেশ–২০২৫ অনুযায়ী ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং একীভূতকরণের পর দ্রুত পরিশোধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুই লাখ টাকার বেশি আমানতের নিষ্পত্তি বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা শিগগির জানানো হবে। নতুন ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে পরিচালিত হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে, অল্প সময়ের মধ্যেই এটি একটি গতিশীল, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকে পরিণত হবে।
সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, এ একীভূতকরণ দেশের ব্যাংকিং খাতে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

