টানা দরপতনের ধারা থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে শুরু করেছে দেশের পুঁজিবাজার। কয়েকদিনের ধারাবাহিক পতনের পর গতকাল সোমবার (৫ মে), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেনে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। তবে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) উল্টো চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে যেখানে সূচক ও লেনদেন দুটোই কিছুটা কমেছে।
ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ৩৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৫৬ পয়েন্টে। পাশাপাশি বাছাইকৃত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ একদিনের ব্যবধানে ১১ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮৩৪ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১০ পয়েন্টে যা আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেশি।
দিনের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টায় সূচক কিছুটা ইতিবাচক অবস্থান ধরে রাখলেও পরে শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের পয়েন্ট কমতে থাকে। তবে দুপুর ১টার পর থেকে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার আগ্রহ বাড়তে থাকায় সূচকে ধীরে ধীরে পয়েন্ট যোগ হতে থাকে যা লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
গতকালের বাজারে সূচকের উত্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ব্যাংক এশিয়া, পূবালী ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)-এর শেয়ার। এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাজারে আস্থার কিছুটা পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয়।
ডিএসইতে গতকাল মোট ৩৯৯ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে এই প্রবণতা স্থায়ী হবে কি না তা নির্ভর করছে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার পুনরুদ্ধারের ওপর।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক ও লেনদেন উভয়ই কমেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, দেশের দুই পুঁজিবাজারের গতিবিধিতে এখনো একধরনের দ্বৈততা বিদ্যমান। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সাময়িক এই ঊর্ধ্বমুখিতা ধরে রাখতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাজারে স্বচ্ছতা ও নীতিনির্ধারণী সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।