কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কর ফাঁকি দেওয়া মানে জনগণকে ঠকানো, আর এই অপরাধে জড়িত কেউই ছাড় পাবে না।
রবিবার এক বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “যাঁরা কর ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁরা জনগণকে ঠকাচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে কর ফাঁকির সঠিক প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আমরা ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কর ফাঁকির যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তা শিগগিরই বদলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ধীরে ধীরে এনবিআরের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বাড়ছে, একইসঙ্গে করদাতাদের মধ্যেও স্বচ্ছতা আসছে। তাঁর ভাষায়, “কোনো কর ফাঁকিবাজই পার পাবে না। আমরা এখন পুরনো ব্রিটিশ প্রশাসনিক পদ্ধতি থেকে সরে এসে অটোমেশনের দিকে যাচ্ছি।”
তিনি জানান, পেশাজীবীদের জন্য আলাদা একটি ডিজিটাল অটোমেটেড রেজিস্টার তৈরির বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে, যাতে কর সংক্রান্ত তথ্য আরও নির্ভুলভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায়।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যাঁদের বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য ও ডকুমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কর অঞ্চলের সার্কেল পর্যায়ে আলাদা করে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআর চিঠি পাঠিয়েছে এবং গণমাধ্যমেও বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, “এটা কোনো গোপন বিষয় নয়, ওপেন ডকুমেন্ট। আমরা এখন নিজেরাই গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছি।”
চেয়ারম্যান জানান, এনবিআরের দুটি গোয়েন্দা ইউনিট—কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ও আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট—ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে। পাশাপাশি কর অঞ্চলের প্রতিটি জোন ও সার্কেল নিজস্ব গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, “সবাই যদি আন্তরিকভাবে কাজ করে, ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুতই ভালো ফল আসবে।”

