চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বেসরকারি খাতে ব্যাংকের ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে বেসরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি ক্রমেই কমছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূলত দেশে নতুন ব্যবসা স্থবির এবং বিনিয়োগ কমে যাওয়াই এই প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার মূল কারণ। সেপ্টেম্বরে ঋণের প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশের নিচে নেমেছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) সব সূচক নেতিবাচক ছিল। নতুন কোনো বিদেশি বিনিয়োগ বা ইক্যুইটি বাড়েনি।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ঋণমান নিয়ে নেগেটিভ রেটিং এজেন্সির প্রভাব নতুন বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। রিজার্ভ বাড়া কিছুটা ইতিবাচক হলেও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ কমে যাওয়ার প্রধান কারণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নির্বাচিত রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে নতুন বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন ব্যবসায়ীরা মূলধন যন্ত্রপাতি আমদানি করবেন এবং ব্যাংক ঋণ নেবেন। এর ফলে ঋণের প্রবৃদ্ধি আবার বাড়তে পারে।
এফডিআই-এর পাশাপাশি মূলধন যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলার পরিমাণও কমেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নতুন বিনিয়োগ কমে গেলে এই আমদানি স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে ব্যাংক ঋণের সুদের হারও কমানো জরুরি। উচ্চ সুদ থাকলে ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়ে নতুন উদ্যোগ নিতে অনিচ্ছুক থাকেন।

