বিশ্বে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ও সম্পদ বেড়েই চলেছে। সুইস ব্যাংক ইউবিএসের ‘ইউবিএস বিলিয়নেয়ার অ্যাম্বিশনস রিপোর্ট ২০২৫’-এর অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ২ হাজার ৯১৯। আগের বছরের তুলনায় সংখ্যা বেড়েছে ৮.৮ শতাংশ। একই সময় তাদের সম্মিলিত সম্পদ ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫.৮ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত স্ব-অর্জিত সম্পদে নতুন বিলিয়নেয়ার হয়েছেন ১৯৬ জন সফল উদ্যোক্তা। তাদের সম্মিলিত সম্পদ ৩৮,৬৫০ কোটি ডলার। অন্যদিকে, উত্তরাধিকার সূত্রে নতুন বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। গত এক বছরে ৯১ জন উত্তরাধিকার সূত্রে বিলিয়নেয়ার হয়েছেন। তাদের হাতে এসেছে ২৯,৮০০ কোটি ডলার। নতুন উত্তরাধিকার সূত্রে বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে ৬৪ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারী।
ইউবিএসের নির্বাহী বেঞ্জামিন ক্যাভাল্লি বলেন, “এ প্রবণতা প্রমাণ করছে, বিশ্বব্যাপী ধনী পরিবারগুলোর সম্পদ হস্তান্তরের ঢেউ আরও তীব্র হচ্ছে। আগামী ১৫ বছরে অন্তত ৫.৯ ট্রিলিয়ন ডলার উত্তরাধিকার সূত্রে হস্তান্তর হতে পারে।”
পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তরাধিকার সম্পত্তি হস্তান্তর হবে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপরের অবস্থানে আছে ভারত, ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ড। তবে উচ্চ জীবনমান, নিরাপত্তা, ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও করনীতির কারণে বিশ্বজুড়ে ধনীদের মধ্যে অভিবাসনের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
বিশ্বজুড়ে নারী বিলিয়নেয়ারদের সম্পদ বৃদ্ধির হার পুরুষদের ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে নারী বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ৩৭৪। তাদের গড় সম্পদ এক বছরে ৮.৪ শতাংশ বেড়ে ৫২০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। পুরুষ বিলিয়নেয়ারদের ক্ষেত্রে একই বৃদ্ধির হার ৩.২ শতাংশ। নারী বিলিয়নেয়ারদের সম্পদ বৃদ্ধিতে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে ভোক্তা ও খুচরা বাজার খাত।

