গাজাগামী মানবিক সহায়তা জাহাজ আটক করার পর ইসরায়েলি বাহিনী সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন তুরস্কের এক মানবাধিকার কর্মী।
তিনি বলেন, থুনবার্গকে অপমানজনকভাবে ইসরায়েলি পতাকা চুমু দিতে বাধ্য করা হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ রবিবার (৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
গতকাল শনিবার ইস্তাম্বুলে পৌঁছানোর পর সিএনএন তুর্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এরসিন চেলিক নামের ওই কর্মী বলেন, “আমাদের সামনেই তারা গ্রেটাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। তারা তাকে হেনস্তা করেছে। গ্রেটা তো এখনো এক তরুণী মেয়ে। তাকে হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করা হয়েছে, পতাকায় চুমু দিতে বাধ্য করা হয়েছে। নাৎসিরা একসময় যেমন করেছিল, তারা এখন সেটাই করছে।”
চেলিক আরো বলেন, “তারা গ্রেটাকে প্রকাশ্যে প্রদর্শন করেছে। সে যেহেতু জনপ্রিয় মুখ, তাই তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হয়েছে।”
সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আন্তর্জাতিক জলসীমায় হামলার শিকার ও আটক হওয়া মানবিক মিশনের কর্মীদের বহনকারী একটি বিশেষ ফ্লাইট শনিবার বিকেলে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ইসরায়েলের ইলাত শহরের রামন বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার পর স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিমানটি তুরস্কে পৌঁছায়। বিমানে ১৩৭ জন কর্মী ছিলেন। যার মধ্যে ৩৬ জন তুরস্কের নাগরিক ও ২৩ জন মালয়েশীয় নাগরিক।
তবে গ্রেটা থুনবার্গকে ইসরায়েল থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে কি না, নাকি এখনো তিনি আটক রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। ২২ বছর বয়সী থুনবার্গ ম্যাডলিন নামের আরেকটি জাহাজে করে গত জুনে গাজার উদ্দেশ্যে মানবিক সহায়তা নিয়ে যাত্রা করেছিলেন। গাজার কাছাকাছি পৌঁছানোর পর সম্প্রতি ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হাতে তারা আটক হন।

