দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতির প্রেক্ষিতে দেশটির দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে রাশিয়া, চীন ও ইরানের সহায়তা চেয়েছেন।
এমন তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন অভ্যন্তরীণ নথি, যা সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদুরো রাডার সিস্টেম, যুদ্ধবিমান মেরামত এবং সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে এই দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছেন। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে চিঠি পাঠান। চীনের কাছে পাঠানো চিঠিতে “বিস্তৃত সামরিক সহযোগিতা” চাওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নথিতে আরো বলা হয়েছে, মাদুরো ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের “আগ্রাসন” নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এটিকে কেবল ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নয়, বরং “চীনের মতো দেশগুলোর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এছাড়া ভেনেজুয়েলার পরিবহনমন্ত্রী রামন সেলেস্তিনো ভেলাসকেজ ইরান থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও ড্রোন সরবরাহ এনেছেন।
মাদুরো রাশিয়ার সহায়তায় ভেনেজুয়েলার আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন। পরিকল্পনায় রাশিয়া থেকে কেনা সুখোই এসইউ-২০এমকে২ যুদ্ধবিমানের পুনর্গঠন, আটটি ইঞ্জিন ও পাঁচটি রাডার মেরামত, ১৪ সেট রুশ ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ এবং লজিস্টিক সহায়তা অন্তর্ভুক্ত।
তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়ার সুখোই যুদ্ধবিমান ভেনেজুয়েলার “সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধক শক্তি” এবং তিন বছরের জন্য মধ্যম মেয়াদি অর্থায়ন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভেনেজুয়েলার অস্ত্রভান্ডারের বড় অংশই পুরোনো এবং অচল। ২০১৮ সালের মধ্যে রাশিয়ার তৈরি সুখোই বিমানের মধ্যে পাঁচটিরও কম সচল ছিল। তবে মাদুরো দাবি করেছেন, দেশজুড়ে রাশিয়ার তৈরি ৫ হাজার ইগলা-এস পোর্টেবল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।

