যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে হোয়াইট হাউসকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম নির্ভুল এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপ করা যায় এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো—এটি খুব নিচু উচ্চতায় উড়ে, ফলে সহজে রাডারে ধরা পড়ে না। এতে যুক্ত আছে উন্নত জিপিএস ও নেভিগেশন প্রযুক্তি, যার ফলে আঘাতের ত্রুটির সীমা মাত্র ১০ মিটার।
যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে টমাহক ব্যবহার করে। পরবর্তীতে সিরিয়াসহ বিভিন্ন সামরিক অভিযানে এ অস্ত্রের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরানে হামলার ক্ষেত্রেও এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ ফুট, ওজন তিন হাজার পাউন্ডের বেশি এবং দাম প্রায় ২০ লাখ মার্কিন ডলার। এতে প্রায় এক হাজার পাউন্ড বিস্ফোরক বহন করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ক্ষেপণাস্ত্রকে “চমৎকার অস্ত্র” বলে অভিহিত করেছেন।
যদিও ইউক্রেন ও রাশিয়া সাধারণত তাদের সামরিক পরিকল্পনা আগেভাগে প্রকাশ করে না, তবুও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইউক্রেন টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে।
পেন্টাগনের মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইউক্রেনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হলেও তা যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মজুতের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত রাজনৈতিক অনুমোদনের অপেক্ষায়, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
একাধিক মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে এবং শিগগিরই হোয়াইট হাউসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন মিলতে পারে।

