মোবাইল হ্যান্ডসেট থেকে রাজস্ব আয় নিশ্চিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পুনরায় এনইআইআর পদ্ধতি চালু করার নির্দেশ দিয়েছে। অবৈধভাবে অসংখ্য মোবাইল হ্যান্ডসেট আসছে। এতে সরকার বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেটের য চাহিদা প্রায় চার কোটি তার বিপরীতে দেশে আড়াই কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন হয়। বাকি মোবাইল হ্যান্ডসেটের চাহিদা মেটানো হয় আমদানি করে। এর ৫০ ভাগ আসে অবৈধভাবে। এসব অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রির নেই কোন নিষেধাজ্ঞা। ফলে এই মোবাইল হ্যান্ডসেটের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে দেশের মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি) পক্ষ থেকে আবারও ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফাই রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) পদ্ধতি চালু করে অনুরোধ করে। এই পরিস্থিতিতে এনবিআর মোবাইল হ্যান্ডসেটের উপর এই নির্দেশ দেয়।
এমআইওবি বলছে, দেশের মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী শিল্প একটা সম্ভাবনাময় শিল্প। দেশেই প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে এই শিল্পের। কিন্তু শুরু থেকেি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এই শিল্প। যা সমাধান করা খুবই জরুরি। এই শিল্প থেকে সরকার সঠিক ভাবে রাজস্ব আদয় করতে পারলে সরকার প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পাবে। কিন্তু অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রির বিষয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকায় সরকার বিপুল পরিমাণের রাজস্ব হারাচ্ছে। এই খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও জাতীয় নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রাখতে এনইআইআর পদ্ধতি চালু রাখা প্রয়োজন।