কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির একজন সদস্যের সীল ও স্বাক্ষর জাল করে আদালতে মামলা দায়েরের ঘটনায় একজন প্রতারক গ্রেপ্তার হয়েছেন। কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ঘটনার তদন্তের পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গত ১১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রতারক রফিক বরুড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা (নম্বর ৪৪১/২৪) দায়ের করেন। আদালতের নথিতে দেখা যায় যে মামলাটি কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির একজন অ্যাডভোকেটের সীল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে করা হয়েছে, যা পরে জাল বলে নিশ্চিত হয়।
মূলত “রফিক” নামের এই ব্যক্তি আইনজীবীর সীল ও স্বাক্ষর জাল করে মামলার নথি জমা দেন। প্রতারণার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর নজরে আসার পর তিনি সমিতিকে বিষয়টি অবহিত করেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যরা নথিপত্র খতিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রফিককে আটক করেন এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, মামলার নথি পরীক্ষা করার সময় আইনজীবী সমিতির সদস্য বিষয়টি নজরে আনেন এবং তখনই বুঝতে পারেন যে এটি জাল সীল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে করা হয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়ার পরই রফিককে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে যে, রফিক ইতিপূর্বে কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতারণামূলক কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন। আইনজীবী সমিতি তাকে একাধিকবার সতর্ক করেছে এবং তার থেকে মুচলেকাও নিয়েছে। তবু তিনি প্রতারণার পথ থেকে সরে আসেননি।
এ ঘটনার পর কুমিল্লা আইনজীবী সমিতি জানিয়েছেন, তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারণা প্রতিরোধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। এমনকি যেকোনো ধরনের জালিয়াতি ও প্রতারণা রোধে আইনজীবী সমিতির নিজস্ব পর্যবেক্ষণ আরো জোরদার করা হবে।
এই ঘটনাটি কুমিল্লার আইনজীবী মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে। আইনজীবী সমিতি কঠোর অবস্থান নিয়ে এই ধরনের প্রতারণা বন্ধে সচেষ্ট হওয়ার যে বার্তা দিয়েছে, তা স্থানীয়দের মাঝে প্রশংসিত হচ্ছে।