আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রায় ৩০০টি নতুন গাড়ি কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনা হচ্ছে”—গণমাধ্যমে এমন খবর ছড়ালেও তা একেবারেই ভিত্তিহীন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এমন একটি প্রস্তাব থাকলেও সেটি বাতিল করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, নতুন গাড়িগুলোর বেশিরভাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য এবং কিছু জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) জন্য বরাদ্দ করা হবে। বর্তমানে মাঠ প্রশাসনের কাছে থাকা অনেক গাড়িই পুরোনো, অচল এবং ঘন ঘন নষ্ট হয়। এর ফলে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেজন্যই নতুন গাড়ি কেনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
চলতি বছরের আগস্টে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২৮০টি গাড়ি কেনার একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। তাতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৪৫ কোটি টাকা।
প্রস্তাবে উল্লেখ ছিল—
-
উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও সমমানের কর্মকর্তাদের জন্য ৬০টি মিতসুবিশি পাজেরো জিপ (প্রতিটির দাম ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা)
-
ইউএনওদের জন্য একই দামে ১৯৫টি পাজেরো জিপ
-
ডিসি অফিসের জন্য ২৫টি মাইক্রোবাস (প্রতিটির দাম ৫২ লাখ টাকা)
কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, বর্তমান গাড়িগুলো প্রায় নয় বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার হচ্ছে এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, আগের সরকারের সময়ে সংসদ সদস্যদের জন্য আনা ৩০ থেকে ৪০টি বিএমডব্লিউ গাড়ি এখনও চট্টগ্রাম কাস্টমসে পড়ে আছে।
এসব গাড়ির সরকারি মূল্যায়ন প্রায় ৬ কোটি টাকা, অথচ নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে মাত্র ১০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, “এ অবস্থায় এগুলোকে সরকারি পরিবহন পুলে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।”