ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদীয় সীমানা পুনর্বিন্যাসের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা উপজেলায় আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠেছে। ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত দুই ইউনিয়ন ফরিদপুর-৪ আসনে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলনকারীরা রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন। এ তথ্য গতকাল শুক্রবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের প্রধান সমন্বয়ক আলগী ইউপি চেয়ারম্যান ম.ম. সিদ্দিক মিয়া নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আগামীকাল ভাঙ্গা উপজেলার ১২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ভাঙ্গা পৌরসভার জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাসহ উপজেলার সর্বস্তরের সুধীজনদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, যা রোববার থেকে পালন করা হবে।
ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও প্রশাসন আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছে। আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইসির কার্যালয়ে গিয়ে দাবি আদায় করতে তারা সুরাহা করতে বলেছেন। তবে সড়কে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথে অবরোধ চালানো হয়। এতে ঢাকা-খুলনা ট্রেন চলাচল ও দক্ষিণবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়াও যাত্রীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার পর অবরোধ তুলে নেওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় আন্দোলনকারীরা অবরোধ স্থগিত রেখেছিলেন।
সংসদীয় সীমানা অনুযায়ী ফরিদপুর-৪ আসনটি ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত। ফরিদপুর-২ আসনে ছিল নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা। ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচনী গেজেট প্রকাশিত হলে হামিরদী ও আলগী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত হয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
বাগেরহাটে চার আসন পুনর্বহালের দাবি-
বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহাল, রাষ্ট্র সংস্কার, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণসমাবেশ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আইনজীবী শেখ আতিয়ার রহমানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। ইসলামি আইনজীবী পরিষদের সভাপতি শেখ আতিয়ার রহমান জানান, চারটি আসন রক্ষার স্বার্থে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে। তিনি বলেন, “চারটি আসন বাগেরহাটবাসীর অধিকার। অধিকার রক্ষার জন্য উচ্চ আদালতে রিট করব।”