আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব আসনে ভোটারদের কাছে ‘না’ ভোটের বিকল্প থাকতে হবে—এমন দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে। সংলাপে টিআইবি’র পক্ষে অংশ নেন সংস্থার পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান। তিনি বলেন, নির্বাচনকে সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার জন্য ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো আসনে যদি মাত্র একজন প্রার্থী থাকে, তখন তাকে ‘না’ ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গণ্য করতে হবে।
সংলাপে কবি মোহন রায়হান সতর্ক করে বলেন, প্রশাসনের মধ্যে এখনও রয়ে গেছে স্বৈরাচারী মনোভাবের নেতিবাচক প্রভাব। তিনি ইসি’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সুন্দর ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে কমিশনকে সতর্ক ও সদিচ্ছাপূর্ণ হতে হবে।
বিজিএমইএ’র পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি আরও বলেন, শুধু ঋণ খেলাপিরাই নয়, যারা অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকেও নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
সংলাপের তথ্য অনুযায়ী, ইসির প্রথম আহ্বানে মোট ৩০ জন বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত হন মাত্র ১৩ জন। এর মধ্যে ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান এবং চর্চার সম্পাদক সোহরাব হাসান।
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন ইসির চার নির্বাচন কমিশনার, সিনিয়র সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
ইসি জানিয়েছে, আগামী অক্টোবরে তারা রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি আরও চূড়ান্ত করবে।