দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রবিবার (৯ নভেম্বর) থেকে সহকারী শিক্ষকদের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে এই কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
গত শনিবার শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশি লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ফলে শতাধিক শিক্ষক আহত হন।
শিক্ষকেরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষকেরা বাধা উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে এগোলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে হয়েছিল। হামলার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষকরা দাবি করছেন—সহকারী শিক্ষকের পদ ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। কিছুদিন আগে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেড থেকে রিটের মাধ্যমে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৩০টি, যার মধ্যে সরকারি বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। সরকারি-বেসরকারি সব মিলিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটি, যার মধ্যে এক কোটি শিক্ষার্থী সরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
সরকারি সূত্র বলছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করারও পরিকল্পনা করছে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণের পথ আরও সুগম হবে।

