ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এ কারণে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তির শিকার হন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে কর্মবিরতি পালন করা হয়। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক্স-রে ও সিটি স্ক্যান সেবা সীমিত পরিসরে চালু থাকলেও বহির্বিভাগের রেডিওলজি বিভাগ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়। একই সঙ্গে রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়া ওষুধ সরবরাহ ভবনের গেট (মেডিসিন স্টোর) বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খাজা মঈন উদ্দিন মঞ্জু বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাবি উপস্থাপন, আন্দোলন এবং প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক যোগাযোগ সম্পন্ন করার পরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও বিভিন্ন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সিকদার মো. জসিম বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জাতীয় সংসদ সচিবালয় মেডিকেল সেন্টার, সচিবালয় ক্লিনিক, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, বঙ্গভবন মেডিকেল সেন্টার, স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিশেষায়িত ইনস্টিটিউটগুলোতে কর্মরত টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা দীর্ঘদিন ধরে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ইতোমধ্যে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের একই দাবি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি আরো জানান, দাবির পক্ষে গত ৩০ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়। এরপর বুধবার ৪ ঘণ্টার অর্ধদিবস কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দাবি পূরণ না হলে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ঢামেকে সম্পূর্ণ শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

