চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. কবির আহমেদ ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)দের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।
এ বিষয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংককে একযোগে কাজ করতে বলেছে, যাতে ডিসেম্বরের মধ্যে এনপিএল বা অকার্যকর ঋণ উল্লেখযোগ্য হারে কমানো যায়। সব পদক্ষেপ অবশ্যই নিয়মনীতির মধ্যে থেকেই নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এনপিএল ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকগুলোর জন্য বিস্তারিত সার্কুলার জারি করেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে আলোচনা করে অকার্যকর ঋণ পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করতে পারবে। এতে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণগ্রহীতারা সহায়তা পাবেন এবং খাতজুড়ে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।
সভায় উপস্থিত আরও একজন এমডি বলেন, “সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনপিএল বেড়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে। খেলাপি কমানোর জন্য যেসব নীতিগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তা কার্যকর হচ্ছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। ব্যাংকগুলো তাদের অবস্থান জানায় এবং কয়েকটি ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংক শক্তিশালী ঋণ পুনরুদ্ধার কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। এছাড়া অনাদায়ী বা আদায়-অযোগ্য ঋণ অবলোপন এবং টেকসই ঋণ পুনঃতফসিলের মাধ্যমে সামগ্রিক খেলাপি ঋণের বোঝা কমানোর পরামর্শ দিয়েছে।
আরেকজন এমডি যোগ করেন, “নীতি সহায়তার মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো বলেছে— রিকভারি বাড়ানো, পুরোনো অনাদায়ী ঋণ অবলোপন এবং পুনঃতফসিল— এই তিন পথেই খেলাপি কমানো সম্ভব।”

