ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের ম্যানেজার একেএম মনিরুল ইসলামকে আটক করেছে। সোমবার দুপুরে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে তোলার পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন শাহবাগ থানায় ৮১৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক এমএ খালেক ও সাবেক সিইও মো. হেমায়েত উল্যাহসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা বোর্ডের দায়িত্বে থাকাকালীন বিভিন্ন কৌশলে কোম্পানির অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এই অনিয়মের তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বিএসইসি এবং বিমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করা বহিঃনিরীক্ষক হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং ও সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং-এর অডিট রিপোর্টে। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ৮১৬ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
বিশেষভাবে, ব্যাংকে রাখা ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এমটিডিআর লিয়েনকে মেসার্স মোল্লা এন্টারপ্রাইজের ব্যাংক ঋণের সঙ্গে জড়িয়ে ভুয়া ‘এক্সট্রাক্ট’ তৈরি করে ৪০ কোটি ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে ধরা পড়ায় ডিবি পুলিশ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তথ্যে জানা গেছে, ২২৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং কাণ্ডেও মনিরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাসলিমা ইসলামের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
মোটকথা, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এই বড় কেলেঙ্কারি এখনও তদন্তাধীন এবং সরকারের সংস্থাগুলো জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের সম্পূর্ণ ছবি উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

