তারেক সাহেব একটি গাড়ি কিনতে চান। গাড়ির দাম ১৫ লাখ টাকা কিন্তু এত টাকা একসঙ্গে তার কাছে নেই। কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। প্রথমেই মনে হল কনভেনশনাল ব্যাংকে গিয়ে ঋণ তোলা যাক।
ধর্মকর্মে বিশ্বাসী হওয়ায় তারেক সাহেব কনভেনশনাল ব্যাংকের কথা ভেবে দ্বিধা বোধ করলেন। সেখানে ঋণ পাওয়া সম্ভব, কিন্তু পরিশোধের সময় অতিরিক্ত দশ শতাংশ সুদ দিতে হবে। ইসলামে সুদ নেওয়া ও দেওয়া উভয়ই নিষিদ্ধ। বিপাকে পড়ে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। সবাই আলাদা পরামর্শ দিলেন। কিন্তু তারেক দেখলেন, এই সময় এমন ঋণ দেয় এমন কেউ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে গাড়ি কিনতে হলে ব্যাংক ঋণ ছাড়া উপায় নেই।
শেষ পর্যন্ত তারেক সাহেব সিদ্ধান্ত নিলেন, কনভেনশনাল ব্যাংকের বদলে একটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেবেন। এতে সুদ সমস্যা থাকবে না এবং ইসলামী নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যও রক্ষা হবে। যে চিন্তা, সেই কাজ। তারেক সাহেব নিকটস্থ একটি ইসলামী ব্যাংকে গেলেন। কর্মকর্তার কাছে সরাসরি গাড়ির জন্য লোন চাইলেন। কর্মকর্তা জানালেন, তারা সরাসরি লোন দিতে পারবে না।
তারেক জিজ্ঞেস করলেন, “কেন?”
কর্মকর্তা উত্তর দিলেন, “আমরা ব্যবসা করি। আমাদের লাভের একটা ব্যবস্থা আছে। লোনের বিপরীতে অতিরিক্ত নেওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই সরাসরি ঋণ দেওয়া সম্ভব নয়।” তারেক আবার জিজ্ঞেস করলেন, “তাহলে আমার উপায় কী? কর্মকর্তা বললেন, “আপনি গাড়ি কেনার বিস্তারিত বিবরণ ও ফিচার আমাদের জানান। আমরা সেই অনুযায়ী গাড়ি কিনব এবং আপনাকে বিক্রি করব। ক্রয়মূল্যের সঙ্গে ১০ শতাংশ লাভ যুক্ত হবে। আপনি রাজি হলে প্রমিজ লেটারে স্বাক্ষর করুন।” তারেক সাহেব রাজি হলেন। প্রমিজ লেটারে স্বাক্ষর করে খুশি মনে বাড়ি ফিরে গেলেন। দুই দিন পর, ব্যাংক প্রদত্ত বিবরণ অনুযায়ী গাড়ি কিনে কাগজপত্রসহ তারেক সাহেবকে ডেকে পাঠাল। এরপর ব্যাংক তার সঙ্গে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি করল।
চুক্তিতে বলা হলো, গাড়ির ক্রয়মূল্য ১৫ লাখ টাকা। ১০ শতাংশ লাভ যুক্ত করে ব্যাংক গাড়িটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। তারেক সাহেব এই টাকা মোট তেত্রিশটি কিস্তিতে পরিশোধ করবেন। প্রতি কিস্তির পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা। কাগজপত্র ও গাড়ি হাতে নিয়ে তিনি খুশি মনে বাড়ি ফিরে গেলেন। একজন মুসলিম হিসেবে প্রশ্ন উঠে, এই চুক্তি কি ঠিক হয়েছে? তিনি কি সুদে জড়িয়ে পড়েছেন? ইসলামিক স্কলারদের মতে, এই চুক্তি সঠিক ও সুদমুক্ত। কেন?
তারেক সাহেব যে চুক্তিতে যুক্ত হয়েছেন, তা ইসলামিক ফিকহে “ক্রয় আদেশভিত্তিক মুরাবাহা” নামে পরিচিত। আরবীতে এটিকে المرابحة للآمر بالشراء বলা হয় এবং ইংরেজিতে “Murabaha to the Purchase Order” নামে। সাধারণভাবে আমরা একে ব্যাংকিং মুরাবাহা নামে জানি। ইসলামিক স্কলাররা বলেন, এটি একটি শরিয়াহসম্মত চুক্তি। বৈধ হওয়ার কারণ হলো চুক্তিতে প্রত্যেক বিষয় স্পষ্টভাবে নির্ধারিত, যা সুদমুক্ত কার্যক্রম নিশ্চিত করে।
ব্যাংকিং মুরাবাহায় কী কী চুক্তি থাকে: ব্যাংকিং মুরাবাহায় সাধারণত কয়েকটি বিষয় জড়িত থাকে। তারেক সাহেবের চুক্তি এটিই উদাহরণ।
প্রথম ধাপ: তিনি পণ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখালেন এবং ক্রয় করবেন বলে ওয়াদা বা প্রমিজ করলেন।
দ্বিতীয় ধাপ: ব্যাংক সেই পণ্য ক্রয় করল। এরপর তার সঙ্গে ‘মুরাবাহা’ চুক্তি করল।
তৃতীয় ধাপ: পণ্যের মূল্য বাকি থেকে ইনস্টলমেন্ট বা কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য করা হলো।
মোট তিনটি কার্যক্রম এখানে বিদ্যমান।
- ক্রয়ের আগ্রহ ও প্রমিজ
- ব্যাংকের ক্রয় ও মুরাবাহা চুক্তি
- কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ
ব্যাংকিং মুরাবাহা সঠিকভাবে বোঝার জন্য এই তিনটি বিষয়কে আলাদাভাবে বিবেচনা করে তাদের বৈধতা ও অবৈধতা নির্ধারণ করা জরুরি।
ওয়াদা বা প্রমিজ: নৈতিক ও আইনগত দিক:
কোনো পণ্য ক্রয় বা বিক্রয়ের ওয়াদা করার পর তা পূরণ করা নৈতিকভাবে আবশ্যক। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি কাজকে মুনাফিকের আলামত আখ্যা দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি হলো ওয়াদা রক্ষা না করা। (সহিহ বুখারি, হাদিস ৩৩) প্রশ্ন আসে, কেউ যদি নৈতিকতা উপেক্ষা করে ওয়াদা ভঙ্গ করে এবং পণ্য ক্রয় না করে, তাহলে তাকে আইন প্রয়োগ করে ক্রয় করতে বাধ্য করা যাবে কি?
ইসলামিক স্কলারদের মতে, এটি তিনটি শর্তে সম্ভব:
১. ওয়াদা রক্ষা না করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে, এবং এটি প্রমিজ লেটারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
২. ওয়াদা ভঙ্গের ফলে বিক্রেতার ক্ষতি হওয়া।
৩. সরকারী আইনে ক্রয়-বিক্রয়ের ওয়াদা রক্ষা বাধ্যতামূলক। (ফিকহুল বুয়ূ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৯১), এই শর্তগুলো পূরণ হলে ওয়াদা ভঙ্গের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগ করা যায় এবং নৈতিক ও শরিয়াহসম্মত ব্যবস্থাই নিশ্চিত হয়।
মুরাবাহা: স্বচ্ছ মূল্য ঘোষণা করে বিক্রয়ের শরিয়াহসম্মত পদ্ধতি:
মুরাবাহা হলো এমন একটি বিক্রয় পদ্ধতি, যেখানে কোনো পণ্য ক্রয়ের পর বিক্রেতা তার প্রকৃত খরচ ও নির্দিষ্ট লাভ ক্রেতার কাছে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে বিক্রি করে। এটি সাধারণ ক্রয়–বিক্রয়ের মতোই। পার্থক্য শুধু একটি—সাধারণ ক্রয়-বিক্রয়ে ক্রয়মূল্য ও লাভ আলাদাভাবে বলা হয় না; কিন্তু মুরাবাহায় এই দুটি বিষয় স্পষ্টভাবে জানাতে হয়। সততা ও স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে হওয়ায় এই বিক্রয়কে ‘বাইউল আমানাহ্’ ও বলা হয়। মূল্য ও মুনাফা ঘোষণা করা ইসলামের কোনো নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। তাই মুরাবাহা ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী বৈধ। আল-কুরআনে বলা হয়েছে, “আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয় হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।” (আল বাকারা, আয়াত ২৭৫)
বাইয়ে মুয়াজ্জাল:
মূল্য বাকি রেখে ক্রয়-বিক্রয়কে বলা হয় বাইয়ে মুয়াজ্জাল। মুরাবাহায় মূল্য বাকি থাকলে তাকে বলা হয় মুরাবাহা মুয়াজ্জালা। মূল্য নির্ধারিত হওয়ার পর বাকি রেখে বিক্রয় করতে কোনো বাধা নেই। হাদিসে পাওয়া যায়, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিবারের খাবার বাকিতে ক্রয় করেছিলেন। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস ১২৫৭) বাকিমূল্য কিস্তিতে পরিশোধ করাও ইসলামে অনুমোদিত। তবে কিস্তি পরিশোধে বিলম্ব হলে অতিরিক্ত জরিমানা ধার্য করা অনুমোদিত নয়। একইভাবে নগদে ক্রয় করলে মূল্য কম ও বাকিতে ক্রয় করলে মূল্য বেশি হওয়াও শরিয়াহসম্মত। তবে শর্ত একটাই—ক্রয়ের সময়ই স্পষ্ট হতে হবে এটি নগদমূল্যের চুক্তি নাকি বাকিমূল্যের। মুরাবাহা বিক্রিতে কিস্তির জন্য আলাদা মূল্য বাড়ানো হয় না; কারণ মূল্য বৃদ্ধির অংশটি আগেই মুরাবাহা চুক্তির মধ্যে নির্ধারিত থাকে। (বুহুস ফি কাযায়া ফিকহিয়্যা মুআসিরা, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১২)
তিনটি মূল দিকই শরিয়াহসম্মত: এ পর্যন্ত আমরা যে তিনটি বিষয় দেখলাম—
১. ওয়াদা বা প্রমিজ
২. মুরাবাহা বিক্রয়
৩. বাকিতে বা কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ
প্রত্যেকটিই ইসলামে অনুমোদিত। তবে ব্যাংকিং মুরাবাহায় এই তিনটি প্রক্রিয়া একসঙ্গে সম্পন্ন হয়। ফলে শরিয়াহ লঙ্ঘনের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। তাই ব্যাংকের মাধ্যমে মুরাবাহা বাস্তবায়নের সময় কিছু বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল রাখা জরুরি, যাতে লেনদেনটি সম্পূর্ণরূপে শরিয়াহসম্মত থাকে।
ব্যাংকিং মুরাবাহা বাস্তবায়নের সঠিক পদ্ধতি:
১ম ধাপ: ওয়াদা ও প্রমিজ চুক্তি: প্রথমে উভয় পক্ষ একটি ওয়াদাপত্রে স্বাক্ষর করবে। এতে উল্লেখ থাকবে, ব্যাংক প্রার্থিত পণ্য নির্ধারিত সময়ে বিক্রি করবে এবং গ্রাহক তা নির্ধারিত মুনাফায় ক্রয় করবে। ওয়াদা-চুক্তিতে ক্রয়-বিক্রয় বাস্তবায়নের সর্বশেষ সময়ও নির্ধারণ করা যেতে পারে।
২য় ধাপ: পণ্যের ক্রয় ও পজিশন নিশ্চিতকরণ: ব্যাংকের পক্ষ থেকে নির্ধারিত তৃতীয় ব্যক্তি এজেন্ট হিসেবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য ক্রয় করবে এবং ব্যাংকের মালিকানায় আনবে। এরপর ব্যাংক গ্রাহককে পণ্য সংগ্রহের বিষয়ে জানাবে।
এই ধাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পণ্যে পজিশন নিশ্চিত না করে বিক্রয় করা হলে তা রিবা অন্তর্ভুক্ত হয়। সাহাবি হযরত হাকিম ইবনে হিযাম রাযি.-কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমার কাছে যা নেই, তুমি তা বিক্রি করো না।” (সুনান আবু দাউদ, হাদিস ৩৫০৩) পজিশন নিশ্চিত না করে মুরাবাহায় বিক্রি করা বৈধ নয়। এতে ব্যাংকের রিস্কবিহীন মুনাফা ও ইসলামী মুরাবাহার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। তাই এই ধাপ যথাযথভাবে পালন করা অত্যাবশ্যক। নচেৎ চুক্তি শুধু নামে ‘ইসলামী’ বা ‘মুরাবাহা’ হবে, কার্যত সুদি কারবারের মতো হয়ে যাবে।
৩য় ধাপ: ইজাব ও কবুল: পণ্য ক্রয়ের জন্য ব্যাংক গ্রাহককে সরাসরি স্পষ্টভাষায় ইজাব করবে। গ্রাহক তা কবুল (Accept) করবেন। এভাবে ব্যাংকিং মুরাবাহা চুক্তি সম্পন্ন হয়। এরপর পণ্যের মালিকানা এবং ঝুঁকি উভয়ই গ্রাহকের দিকে চলে আসে। এই তিনটি ধাপ স্বচ্ছভাবে পালন করলে ব্যাংকিং মুরাবাহা মৌলিকভাবে বৈধ ও শরিয়াহসম্মত হয়।
বায়িং এজেন্ট:
ব্যাংকিং মুরাবাহায় কখনো কখনো দেখা যায়, পণ্য ক্রয়ের কাজটি ব্যাংক নিজস্ব এজেন্টের মাধ্যমে না করে, গ্রাহককেই প্রতিনিধি বানিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়। তবে এটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ই মুরাবাহা চুক্তি ও সুদি চুক্তির মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে। গ্রাহককে ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করলে তিনটি ঝুঁকি দেখা দিতে পারে:
১. স্বার্থের সংঘাত: গ্রাহক ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে পণ্য ক্রয় করার পর ব্যাংককে না জানিয়ে নিজেই মুরাবাহার মাধ্যমে বিক্রি করতে পারে। এতে একই ব্যক্তি বিক্রেতা (এজেন্ট হিসেবে) ও ক্রেতা (নিজসত্ত্বায়) হয়ে যায়। ইসলামে এটি বৈধ নয়।
২. নামমাত্র ক্রয়-বিক্রয়: গ্রাহক পণ্য ক্রয় না করেও ব্যাংককে জানাতে পারে যে ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে। অথবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে পারে। এতে শরিয়াহসম্মত ক্রয়-বিক্রয়ের ভিত্তিতে মুরাবাহা চুক্তি হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায় না।
৩. রিস্ক আরোপের সমস্যা: যতক্ষণ গ্রাহক ব্যাংকের এজেন্ট থাকবে, ততক্ষণ পণ্যের সকল রিস্ক ব্যাংক বহন করবে। পণ্য ধ্বংস হলে দায়গ্রস্ত হবে ব্যাংক, এজেন্ট নয়। যেহেতু গ্রাহককে প্রতিনিধি বানানোতে শরিয়াহ লঙ্ঘনের ঝুঁকি বেশি, ইসলামিক স্কলাররা সাধারনত এটি অনুমোদন দেন না। তবে একান্ত নিরুপায় পরিস্থিতিতে তিনটি শর্তে অনুমতি দেওয়া যায়:
১. পরিস্থিতি এমন যে, গ্রাহক ছাড়া অন্য কাউকে প্রতিনিধি বানানো সম্ভব নয়। যেমন, বৈদেশিক লেনদেনে। দেশীয় মুরাবাহায় বিনা প্রয়োজনে গ্রাহককে এজেন্ট বানানো যাবে না।
২. বাস্তবে ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত কাগজপত্র ব্যাংকের নামে থাকা।
৩. পণ্যের মূল্য সরাসরি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হবে, গ্রাহককে নয়। (আওফি, শরিয়াহ স্ট্যান্ডার্ড নং-৮, ধারা-৩, উপধারা-১) এই নিয়মগুলো মেনে চললে ব্যাংকিং মুরাবাহায় ঝুঁকি কমানো যায় এবং চুক্তি শরিয়াহসম্মত থাকে।
লেখক: সহকারি শরিয়াহ এডভাইজার: আইএফএ কনসালটেন্সি, সহকারী মুফতি ও মুশরিফ: আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালাম, মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা।

