রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধারাবাহিক চাপ এবং ব্যাংকখাতে বাড়তে থাকা খেলাপি ঋণের বোঝা—সব মিলিয়ে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা এখন চরম ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। এই বাস্তবতায় সামনে আসছে বড় প্রশ্ন। নির্বাচনি বছর ২০২৬ সালে ব্যাংকখাত কি স্থিতিশীল থাকবে, নাকি আরও কঠিন সময়ের মুখে পড়বে।
ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টদের মতে, গত কয়েক বছরে ধারাবাহিক তারল্য সংকট, অনিয়ম, দুর্বল প্রশাসন এবং রাজনৈতিক প্রভাব ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে নড়বড়ে করে দিয়েছে। এর ফলে আমানতকারীদের আস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আস্থা সংকটের প্রভাব পড়েছে পুরো আর্থিক ব্যবস্থায়।
কয়েকটি ব্যাংক উচ্চ সুদের লোভ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ করেছে। তবে সেই অর্থ কার্যকর ও লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করতে না পারায় বিপরীত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সুদ পরিশোধের বাড়তি চাপ থেকেই নতুন সংকটের জন্ম হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সাধারণ মানুষ নতুন করে সঞ্চয় গড়তে পারছে না। বরং দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে আগের সঞ্চয় ভেঙে ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলোর আমানতভিত্তি আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতিতে টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অর্জন করা সহজ নয়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, কার্যকর নীতি বাস্তবায়ন এবং ব্যাংকখাতে সুশাসন নিশ্চিত করা না গেলে সংকট আরও গভীর হতে পারে।
বেড়েই চলেছে খেলাপি ঋণ:
ব্যাংকখাতের সবচেয়ে বড় ও গভীর সংকট হিসেবে ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে খেলাপি ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকখাতে মোট ঋণের প্রায় ৩৬ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। একই সময়ে ব্যাংকখাতে মোট ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা।
এক বছর আগে এই চিত্র ছিল ভিন্ন। তখন খেলাপি ঋণের অঙ্ক ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এই প্রবণতা ব্যাংকখাতের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার চিত্রও এক নয়। সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ২৩টির খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে। বিপরীতে, ১৩টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে। আরও আটটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ২০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে অবস্থান করছে। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, ১৭টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ব্যাংক আমানত সংগ্রহ করে তা বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রাহকদের মুনাফা দেয়। এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে শুধু আমানত সংগ্রহে জোর দেওয়া ব্যাংকের জন্য উল্টো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তথ্য বলছে, ৯০ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে এমন ব্যাংকের সংখ্যা ছয়টি। এর মধ্যে সবচেয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে বিদেশি মালিকানাধীন ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান। ব্যাংকটির মোট ১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার ঋণের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৮৪ শতাংশই বর্তমানে খেলাপি।
ইউনিয়ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ১১৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা, অর্থাৎ মোট ঋণের ৯৬ দশমিক ২০ শতাংশ। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রে ১৪ হাজার ১৪ কোটি টাকা বা ৯৫ দশমিক ৭০ শতাংশ ঋণ ইতোমধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৯৪ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের হার ৯১ দশমিক ৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫০ শতাংশের সীমা ছাড়িয়ে গেছে, সেগুলো শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের জন্য নয়, পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্যই বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে। নির্বাচনি বছর সামনে রেখে এই সংকট সামাল দেওয়া ব্যাংকখাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
ব্যাংকের সামগ্রিক চিত্র:
দেশের ব্যাংকখাতে আমানত বাড়লেও বিনিয়োগে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাস শেষে দেশে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩১ হাজার ১১৯ কোটি টাকায়। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে ব্যাংকখাতে আমানত বেড়েছে ৩৪ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা।
তবে আমানতের এই প্রবৃদ্ধির বিপরীতে বিনিয়োগের চিত্র আশাব্যঞ্জক নয়। চলতি বছরের অক্টোবর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। এক বছর আগে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল তুলনামূলক বেশি, ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। ফলে আমানত বাড়লেও বিনিয়োগ কমে যাওয়ার প্রবণতাকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সাধারণভাবে ব্যাংকে আমানত বাড়লে গ্রাহকদের সুদ পরিশোধের দায়ও বাড়ে। কিন্তু সেই অর্থ যদি বিনিয়োগে ব্যবহার করা না যায় এবং অলস অবস্থায় রেখে সুদ দিতে হয়, তাহলে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়। তিনি বলেন, ব্যাংক আমানত সংগ্রহ করে তা বিনিয়োগের মাধ্যমে আয় করে গ্রাহকদের মুনাফা দেয়। এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে শুধু আমানত সংগ্রহে জোর দেওয়া ব্যাংকের জন্য উল্টো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল বায়েস বলেন, অর্থনীতির সবচেয়ে বড় শত্রু অনিশ্চয়তা। মানুষ যদি নিশ্চিত থাকে যে তাদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হবে না, তাহলে অর্থনীতি সচল থাকতে পারে। কিন্তু অনিশ্চয়তা থাকলে কোনো উদ্যোগই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা কমানো না গেলে আমানত ও বিনিয়োগের এই বৈপরীত্য আরও গভীর হতে পারে। নির্বাচনি বছর সামনে রেখে ব্যাংকখাতের জন্য এটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি কেন থমকে আছে:
দেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি থমকে থাকার পেছনে একাধিক সূচক একসঙ্গে কাজ করছে। অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল বায়েস বলেন, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ, দেশীয় চাহিদা এবং রপ্তানিসহ অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো বর্তমানে নিম্নমুখী অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তবে বিনিয়োগ ও ভোগব্যয় কম থাকায় এই রিজার্ভ কার্যকর চাহিদা সৃষ্টি করতে পারছে না। ফলে অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত গতি ফিরছে না।
ড. আব্দুল বায়েসের মতে, খেলাপি ঋণ সমস্যাও বিনিয়োগ স্থবিরতার একটি বড় কারণ। তিনি বলেন, যারা ঋণখেলাপি হয়েছেন, তারা সাধারণত আর্থিকভাবে দুর্বল নন। বরং তারা দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে বড় অঙ্কের সম্পদ গড়ে তুলেছেন। প্রয়োজন হলে তারা আরও বড় সম্পদ কেনার সক্ষমতাও রাখেন। তবু তারা ব্যাংকের টাকা ফেরত দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
তার ভাষায়, অর্থনীতির সবচেয়ে বড় শত্রু হলো অনিশ্চয়তা। মানুষ যদি নিশ্চিত থাকে যে তাদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হবে না, তাহলে অর্থনীতি সচল থাকতে পারে। কিন্তু অনিশ্চয়তা বিরাজ করলে কোনো উদ্যোগই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার প্রভাব সরাসরি বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধির ওপর পড়ছে বলে মনে করেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক ও নীতিগত অনিশ্চয়তা দূর করা না গেলে বিনিয়োগে স্থবিরতা কাটানো কঠিন হবে। নির্বাচনি বছর সামনে রেখে এই চ্যালেঞ্জ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
নির্বাচন ও অনিশ্চয়তার প্রভাব:
দেশের অর্থনীতির সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। সামনে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে। তাদের মতে, নির্বাচন না থাকার চেয়ে দুর্বল নির্বাচনও তুলনামূলকভাবে ভালো। কারণ অন্তত একটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ন্যূনতম আস্থার পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল বায়েস বলেন, অনিশ্চয়তা কাটানোর একমাত্র পথ হলো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তার মতে, ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনও নির্বাচন না থাকার চেয়ে ভালো। কারণ একটি নির্বাচিত সরকার থাকলে মানুষ অন্তত বুঝতে পারে, আগামী পাঁচ বছরে দেশ কোন পথে এগোতে পারে।
ইসলামী ব্যাংক ও সংস্কারের প্রশ্ন:
চলমান সংস্কার কার্যক্রমে কিছু অগ্রগতি দেখা গেলেও তা এখনো পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। এই কাঠামোর আওতায় থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক কীভাবে পরিচালিত হবে, গ্রাহকদের আস্থা কীভাবে ধরে রাখা যাবে এবং বিনিয়োগ বাড়ানো আদৌ সম্ভব হবে কি না—এসব প্রশ্নের এখনো স্পষ্ট উত্তর নেই।
২০২৬ সালে কি সংকট আরও বাড়বে:
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সাল ব্যাংকখাতের জন্য হবে এক ধরনের রূপান্তরকাল। স্বল্পমেয়াদে খেলাপি ঋণের চাপ কমার সম্ভাবনা কম। কারণ অনেক ঋণই পুরোপুরি আদায়যোগ্য নয়। পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হলে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাও তৈরি হবে না। তবে তারা বলছেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, কার্যকর সংস্কার, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করা গেলে ২০২৬ সাল সংকট কাটিয়ে ওঠার প্রস্তুতির বছর হয়ে উঠতে পারে।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো অর্থনীতিবিদ এম. হেলাল আহমেদ জনি বলেন, শুধু আর্থিক খাত নয়, সামগ্রিকভাবেই দেশে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। তবে আশার বিষয় হলো, ব্যাংকখাতে চলমান সংস্কার কার্যক্রমে কিছু অগ্রগতি দৃশ্যমান।
তার মতে, গত কয়েক বছরে তারল্য সংকট, অনিয়ম ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে আমানতকারীদের আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকায় ঝুঁকিও বেড়েছে। ফলে ২০২৬ সালের মধ্যে ব্যাংকখাত পুরোপুরি সংকটমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা বজায় রাখা, সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার পথে এগোনো সম্ভব।
অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুল বায়েসও মনে করেন, নতুন বছরটি ব্যাংকখাতের জন্য পুরোপুরি স্বস্তির হবে না। তার মতে, ব্যাংকখাতে সৃষ্ট ক্ষত পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।

