ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদি আবারও বাড়ছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নয় মাসে বাংলাদেশ থেকে ইইউর মোট পোশাক আমদানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮.৪৭ বিলিয়ন ইউরোতে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.১৪% বেশি।
তবে এই প্রবৃদ্ধির মূল কারণ হলো আমদানির পরিমাণের বৃদ্ধি। ভলিউম বেড়েছে ১৩.৮০%, আর ইউনিট মূল্য কমেছে ৫.৮৬%। অর্থাৎ ক্রেতারা দামের দিকে আরও সতর্ক হয়ে বাজারে প্রতিযোগিতার চাপ অনুভব করছেন।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মোহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ইইউর অন্যতম বড় সরবরাহকারী হিসেবে অবস্থান আরও শক্ত করেছে। এই নয় মাসে আমরা ১৫.২৬ বিলিয়ন ইউরোর রপ্তানি করেছি, যা গত বছরের একই সময়ের ১৩.৪৮ বিলিয়ন ইউরোর তুলনায় ১৩.১৭% বেশি।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ দাম নিয়ন্ত্রণে রেখে এবং স্থায়ী ক্রেতাদের ধরে রেখে ইউরোপের বাজারে শেয়ার বাড়াতে পেরেছে।”
ইইউর বাজারে চীন, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। বিশেষ করে কম্বোডিয়ার রপ্তানি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ইইউতে চীনের রপ্তানি হয়েছে ১৯.৭৭ বিলিয়ন ইউরো, ভারত: ৩.৭৬ বিলিয়ন, পাকিস্তান: ২.৯০ বিলিয়ন, কম্বোডিয়া: ৩.৩৭ বিলিয়ন ইউরো। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা দুর্বল হওয়ায় কম্বোডিয়া কৌশলগতভাবে ইইউমুখী রপ্তানি বাড়িয়েছে। এছাড়া, ভলিউম ও মূল্য দুটোই বেড়েছে, তবে বেশিরভাগ দেশের ইউনিট মূল্য কমেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপে ক্রেতাদের মূল্যসংবেদনশীলতা বেড়ে গেছে। মুদ্রাস্ফীতির চাপ সামলাতে তারা সরবরাহকারীদের মধ্যে তুলনা করে কম দামের দিকে ঝুঁকছেন।
অন্যদিকে, তুরস্কের রপ্তানি এই সময়ে কমেছে ৯.৮০%। নিয়মিত সরবরাহ ও খরচ দুই দিক থেকেই দেশটি চাপের মুখে পড়েছে। এর ফলে ইউরোপে তুরস্কের অবস্থান দুর্বল হয়ে গেছে।

