মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ১০ কাঠার প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া তাকে গ্রেপ্তার দেখান। কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে তাকে গ্রেপ্তার দেখান। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মোনায়েম নবী শাহিন জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করলে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৬ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলা করেন। এতে খায়রুল হকসহ আটজনকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন– রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ ও এস্টেট) আ.ই.ম গোলাম কিবরিয়া, সদস্য মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভুঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ২ নম্বর শিক্ষা সম্প্রসারণ সড়কে (নায়েম রোড) পৌনে ১৮ কাঠা জমির ওপর খায়রুল হকের ৬ তলা পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। দেশে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে রাজউকের ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেন।
খায়রুল হক প্লট বরাদ্দের শর্ত ভঙ্গ করেন। রাজউকের কর্মকর্তাদের সহায়তায় সুদ মওকুফের কোনো বিধান না থাকা সত্ত্বেও তিনি প্লটের জন্য সাময়িক বরাদ্দপত্রে শর্ত ভঙ্গ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুদসহ কিস্তি না দিয়ে অবসরের পর অর্থাৎ বরাদ্দের ৫ বছর পর টাকা জমা দেন। এতে চার লাখ ৭৪ হাজার ২৪০ টাকা সুদ না দিয়ে সরকারের ক্ষতিসাধন করা হয়।
গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তিনি কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়াও দুর্নীতি ও জাল রায় তৈরি সংক্রান্ত অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।